পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঘটনার সূত্রপাত নাকি সংসারে ? শাস্ত্ৰ জানা ব্ৰাহ্মণ, কি বুঝেচে কি জানি ? আর কিছু বলতে র্তার সাহস যোগাল না । গঙ্গাচরণ কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বললে-কিছু খরচ করতে হবে। বিপদে ফেলেচে । বিশ্বাস মশায় উদ্বেগের সুরে বললেন-কি রকম ? কি রকম ? -গোবধ মহাপাপ । এত বড় মহাপাপ যেবিশ্বাস মশায় বাধা দিয়ে বললেন-কিন্তু এ তো আমরা ইচ্ছে করে করি D D BD DB DDS DD DBDBB BDB BB BDBBDSYS -ওই একই কথা । গোবধ ওকেই বলে-মহাপাপ । -এখন কি করা যায় তা হলে ? --স্বস্ত্যয়ন করতে হবে, সামনের আমাবস্তের দিন যোগাড় করতে হবে সব । টাকা পনেরো-কুড়ি খরচ হবে। বিশ্বাস মশায় উদ্বিগ্ন সুরে বললেন-কি কি লাগবে একটা ফর্দ করে দিন ঠাকুর মশাই। গঙ্গাচরণ গম্ভীরভাবে বললে-দেখে শুনে ফর্দ করতে হবে। একটা গুরুতর ব্যাপার, আপনার নাতির অসুখ সারা না-সারা এর ওপর নির্ভর করচে। যা তা করে দিলেই তো হবে না ? দাড়ান একটু, আসচি গঙ্গাচরণ বাড়ীর মধ্যে ঢুকতেই দেখলে অনঙ্গ-বেী দরজার কাছে দাড়িয়ে ওদের কথাবার্তা সব আড়াল থেকে শুনচে । স্বামীকে দেখে বললে-ও কে গা ?--কি হয়েচে ? গঙ্গাচরণ স্ত্রীকে হাতছানি দিয়ে ভেতরের উঠোনে ডেকে নিয়ে গিয়ে বললে --বড় খদের । উনি হোলেন বিশ্বেস মশায় । তোমার কাপড় আছে কখনো ? -ऊांभांद्र ? -আঃ, তাড়াতাড়ি বল না ? তোমার নয়তো কি আমার ? -আমার আটপৌরে শাড়ী আছে দুখানা, আর একখানা, তিনখানা। তোরঙ্গের মধ্যে তোলা ভালো শাড়ী আছে দুখান । —কি নেবে বলে। ভালো শাড়ী না আটপৌরে ? --ভালো শাড়ী একখানা হলে বড় ভালো হয়, কস্তাপেড়ে, এই--এই রকম জলচুড়ি দেওয়া, বাসুদেবপুরে চক্কত্তি-গিনীর পরনে দেখে সেই পৰ্যন্ত বডড মনটার ইচ্ছে-হঁ্যা গা, কে দেবে গা ?