পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছেলেদের নিয়ে। এসময়ে টাকাও পেয়েচি দুটো । একটা থাক, একটা খরচ <ë (3 vaçi | কিন্তু যাই যাই করে শীত কেটে গিয়ে ফাস্তুন মাস পড়ে গেল। তখন অনঙ্গ একদিন বিশ্বাস মশায়ের গরুর গাড়ীতে ছেলেদের নিয়ে ভাতছালা রওনা হলো । দুক্রোশ পথ গিয়ে কঁাটালিয়া নদী পার হতে হলো জোড়াখেয়া নৌকোতে গরুর গাভী সুদ্ধ। অনঙ্গ-বৌয়ের বেশ মজা লাগলো এমনভাবে নদী পার হতে। ওপারে উঁচু ডাঙায় নদীতীরে প্রথম বসন্তে বিস্তর ঘেটুফুল ফুটে আছে, বাতাসে ভুর ভুর করচে আমের বউলের মিষ্ট সুবাস, আঁকাবঁকা শিমুলগাছে রাঙাফুল ফুটে আছে। অনঙ্গ ছেলেদের বললে-এখানে এই ছায়ায় বসে দুটো মুড়ি খেয়ে নেকখন ভাতছালা পৌছবি তার ঠিক নাই। বড় ছেলেটা বললে-ওঃ কি আমের বোল হয়েছে দ্যাখো সব গাছে । এবার दञ्, ञ्भ शंद, न गl ? — খেয়ে নে মুড়ি । আমের বোল দেখবার সময় নেই এখন। ছেলে দুটি ছুটোছুটি করে বেড়াতে লাগলো নদীর পাডে গাছ-পালার ছায়ায় ফড়িং ধারবার জন্যে । অনঙ্গ ওদের বকেঝকে আবার গাড়ীতে ওঠালে। নিস্তব্ধ ফান্ধন-দুপুরে মেঠোপথে আমবন, জাম, নট, বাশ, শিমুলগাছের । ছায়ায় ছায়ায় গরুর গাড়ীর ছাইয়ের মধ্যে বসে অনঙ্গ-বৌয়ের ঝিমুনি ধরলো। বড় ছেলে বললে- মা, তুমি ঢুলে পড়ে যাচ্চ যে, উঠে বোসে । অনঙ্গ অপ্রতিভ হয়ে বললে-চোখে একটু জল দিলে হতো। ঘুম अC5 | ভাতছালা পৌছুতে বেলা পড়ে গেল। গাড়োয়ান বললে—তবু সকালে সকালে এসে গ্যালাম মা-ঠাকরেণ । ন কোশ রাস্তা আমাদের গা থে। । গরু দুটোর সুধার বয়েস, তাই আসতে পারলে । ভাতছালাতে অনঙ্গ-বেীদের ঘর ছিল গ্রামের বাগদি পাড়া থেকে অল্পদুরে খুব বড় একটা বিলের কাছে। একখানা খড়ের ঘর, সঙ্গে ছোট একখানা রান্নাঘর, অনেকদিন কেউ না থাকাতে চালার খড় কিছু কিছু উড়ে পড়েচে, মাটির দাওয়াতে ছাগল গরু উঠে খুঁড়ে ফেলেচে। উঠোনের চারিধারে বঁাশের বেড়া R هستfR. h