পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনঙ্গ-বীে হেসে তার গায়ে একটা কাটি ছুড়ে মেরে বললে- দূর পোড়ারমুখী যে দুদিন অনঙ্গ এখানে রইল, এমন নিছক আনন্দের দুটি দিন ওর জীবনে কতকাল আসেনি। চলে আসবার দিন মতি মুচিনী কেঁদে আকুল হলো। সে এ গায়ে আর থাকতে চায় না, অনঙ্গ-বৌয়ের সঙ্গে চলে যাবে। কালী গোয়ালিনী আধ সের ভাল গাওয়া ঘি ও দুটো বড় মানকচু নিয়ে এসে দিলে । মতি খেজুর-গুড়ের পাটালি নিয়ে এল খেজুর গাছের বাকলায় বেঁধে । গঙ্গাচরণ জিনিসপত্র দেখে বললে – বাঃ, অনেক সওদা করে এনেচ দেখচিঅনঙ্গ হাসি হাসি মুখে বললে-দাম দিতে হবে আমাকে কিন্তু। —ভাল কথাই তো । কেমন দেখলে ? --- অতি চমৎকার। আমার যে কি ভালো লেগেচে । মতি এল, কালী এল, গায্যের কত কি-বৌ দেখতে এল -ওরা এখনো ভোলেনি আমাদের ? --ভুলে যাবে ? সবাই বলে এখানে এসে আবার বাস করুন, বামুন দিদি । হ্যা গা, পদাবিলের ধারে একখানা ঘর বধো না কেন ? আমার বডড সাধি কিন্তু । —আবার ভাতছালা ফিরে যাবে ? সে হয় না। পাঠশাল জমে উঠেচে । এখন কি নড়া যায়, গেলেই লোকসান । —তুমি যা ভালো বোঝে। আমার কিন্তু বাপু ওখানে একখানা ঘর বাধাবার বন্ড ইচ্ছে । গঙ্গাচরণ সেদিন পাঠশালা জমিয়ে বসেচে, সামনের পথ দিয়ে এক জন পথচলতি লোক যেতে যেতে হঠাৎ দাডিয়ে পাঠশালাব মধ্যে ঢুকে বললে-এটা পাঠশালা ? -1 ! —মশাই দেখচি ব্ৰাহ্মণ, একটু তামাক খাওয়াতে পারেন ? আমিও ব্রাহ্মণ । कभयू । --বসুন্ন বসুন, নমস্কার-ওরে -