পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সংসার অনিত্য, আমি মশাই আবার একটু ধৰ্ম্মকথা, একটু সৎ আলোচনা বডড পছন্দ করি । গঙ্গাচরণ মনে মনে বললে – এই রে, খেয়েচে ! মুখে বললে— সে তো খুব अt(* कथा । —আপনি আর আমি সমব্যবসায়ী। তাই আপনার কাছে এত কথা খুলে বললাম। কিছু মনে করবেন না যেন। আচ্ছা আজ উঠি। অনেকদূর যেতে হবে । -আবার যখন এদিকে আসবেন, দেখা দেবেন। দয়া করে। -সে আর বলতে মশাই ? একদিন আমার পরিবারকে নিয়ে এসে আপনাদে বাড়ীতে আলাপ করিয়ে দেবো । আচ্ছা আসি, নমস্কার গ্রামের বিশ্বাস মশায়ের নাতিটি কাকতালীয় ভাবে সুস্থ হয়ে উঠলো। গঙ্গাচরণের শান্তি স্বস্ত্যয়নের পরে । এতে গঙ্গাচরণের পসার আরও বেড়ে গেল গ্রামের লোকদের কাছে । একদিন একজন লোক এসে গঙ্গাচরণকে বললে-আমাদের গায়ে একবার যেতে হচ্ছে পণ্ডিত মশায় -এসো, বসে। কোথায় বাড়ী ? -কামদেবপুর, এখান থেকে তিন কোশ । আপনার নাম শুনে আসচি । সবাই বললে, পণ্ডিত মশায় বড় গুণী লোেক । আমাদের গায়ের আশপাশে বড় ওলাউঠোর ব্যায়রাম চলেচে । আপনাকে যেয়ে আমাদের গা বন্ধ করতে হবে। গঙ্গাচরণ “গা বন্ধ করা” কথাটা প্ৰথম শুনলো। তবুও আন্দাজ করে নিল লোকটা কি বলতে চাইচে । তাদের গ্রামে যাতে ওলাউঠাব অসুখ না ঢোকে, এজন্যে মন্ত্র পড়ে গ্রামের চারিদিকে গণ্ডি টেনে দিয়ে মহামারীর আগমন বন্ধ করতে হবে, এই ব্যাপার । কঁচা লোকের মত গঙ্গাচরণ তখনই বলে উঠলো না, “হঁ্যা, এখুনি করে দেবো তাতে আর কি, ইত্যাদি ।” সে গম্ভীরভাবে তামাক টেনে যেতে লাগলো, টুক্তিরে ‘হ্যা’ কি “ন’ কিছুই বললে না । লোকটি উদ্বিগ্নসুরে বললে-ঠাকুর মশায়, হবে তো আমাদের ওপর নিশা ? গঙ্গাচরণ স্থিরভাবে বললে –তাই ভাবচি । -কেন পণ্ডিত মশাই ? এ আপনাকে হাতে নিতেই হবে V to