পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-ঈশান কোণে । তাবা মাথা চুলকে বললে - আক্সে-সে কোথায় ? -ঈশান কোণ জানো না ? উত্তৰ-পশ্চিম কোণ-এই দিকআঙুল দিয়ে গঙ্গাচরণ ঈশান কোণ দেখিয়ে দেয়। গ্রামে ঢুকবার পথই সেদিক দিয়ে, আসবার সময় সেদিকে একটা বড নিমগাছ সে লক্ষ্য করে এসেচে। আজই সকল বেলা । gDBDBY BBB SiSiDLDB DDS DDLDDD DB DBBSS —আছে ? থাকতেই হবে। ঈশানে যোগিনী যে - -অজ্ঞে, কি করতে হবে ? -- ওখানে ধ্বজা বঁধতে হবে । চলে আমার সঙ্গেদু'জন জোয়ান ছোকবা গঙ্গাচরণের আদেশে নিমগাছের মগডালে ধ্বজা বঁধতে উঠলো। বেলা চারটে বাজে । গঙ্গাচরণ হাপ ফেলে নিশ্চিন্ত হবার ভঙ্গিতে বললে —যাক, এবার ব্যাপার মিটে গেল । বাবাঃ, পয়সা খণ্ডু করে ক্রিয়াকর্মের অনুষ্ঠান করলে তোমরা, এর মধ্যে খুঁত থাকতে দেবো কেন ? এবাব তোমরাও নিশ্চিন্দি। গা বন্ধ বললেই গা বন্ধ হয়! খাটুনি আছে। সকলে শ্রদ্ধা ও ভক্তিতে আপ্লুত হয়ে উঠলো। এমন না হোলে পণ্ডিত ? গ্রামের সবাই মিলে অনুরোধ ক’রে এক গোয়ালা বাড়ীতে নিয়ে গিয়ে গঙ্গাচরণের জলযোগের ব্যবস্থা করলে। গঙ্গাচরণ বললে – ডাবের জল ছাড়া আমি অন্য জল খাবো না । তোমরাও নদীর জল ব্যবহার বন্ধ করা একেবারে । এক মাস কাল নদীর জল কেউ খেতে পাবে না । বাসি বা পচা জিনিস খাবে না। মাছি বসলে সে খাবার তখুনি ফেলে দেবে। মনে থাকবে ? সবাইকে --G؟f ܗ}ܐ মাতব্বর লোকেরা সকলকে কথাটা বলে বুঝিয়ে দিলে। সন্ধ্যার আগে গরুর গাড়া করে ফিরচে, পথে গ্ৰাম্য পুরোহিত দীনু ভট্টচায। এসে বললে- নমস্কার, চললেন -अख्ठि ई7 | -আমার একটা কথা আছে, গাড়ী থেকে নেমে একটু শুনুন গঙ্গাচরণ গাড়ী থেকে নেমে একটা গাছতলায় দাড়িয়ে দীনু ভট্টচায্যের সঙ্গে কথা বললে। দীনু ওর হাত দু’টি ধরে বললে-আমার একটা অনুরোধ w8