পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গঙ্গাচরণ নিজের ছেলের দিকে হাসি হাসি মুখে তাকিয়ে বললে-হাবু, সিঙ্গাপুর কোথায় ? হাবু দাড়িয়ে উঠে সগৰ্বে বললে-পুরীর কাছে, মেদিনীপুর জেলায়। পাঠশালার অন্যান্য ছেলেরা ঈর্ষামিশ্ৰিত প্ৰশংসার দৃষ্টিতে হাবুর দিকে চেয়ে ब्रशेळ । বৈশাখের মাঝামাঝি থেকে কতকগুলি আশ্চৰ্য পরিবর্তন লক্ষ্য করলে গঙ্গাচরণ বাজারের জিনিসপত্র কিনতে গিয়ে । প্ৰত্যেক জিনিসের দাম ক্রমশঃ চড়ে যাচ্চে। কিন্তু তা যাক গে, সেদিন হাটে একটা ঘটনা দেখে শুধু গঙ্গাচরণ নয়, হাটের সব লোকই অবাক হয়ে গেল । ঘটনাটা অতি সামান্য । ইয়াসিন বিশ্বাসের বড গোলদারি দোকান। তাতে কেরোসিন তেল আনতে গিয়ে অনেকে শুধু হাতে ফিরে গেল। তেল নাকি নেই। গঙ্গাচরণের বিশ্বাস হলো না কথাটা । সে নিজেও তেল নেবে। তেলের বোতল হতে দোকানে গিয়ে দাড়াতেই ইয়াসিনের দাদা ইয়াকুব বললে-তেল নেই পণ্ডিত মশাই -নেই ? -vates --তেল আনো নি ? -ङ८ङ3 °९९3श्। यCbS न्म । -সে কি কথা ? ক্রাসিন পাওয়া যাচে না ? -আমাদের চালান আসে নি। এবার একদম । শুনলাম নাকি মহকুমা হাকিমের কাছে দরখাস্ত করতে হবে চালান পাঠাবাব আগে । -কবে আসতে পারে ? -আজ্ঞে কিছু ঠিক নেই গঙ্গাচরণ বোতল হাতে বেরিয়ে আসচে, ইয়াকুব সুর নিচু করে বললেবাবু, এই বেলা কিছু নুন আর কিছু চাল কিনে রাখুন— ও দু’টাে জিনিস। যদি ঘরে থাকে, তা হলেও কষ্টশ্ৰেষ্ট করে আধাপেটা খেয়েও চলবে । -কেন, ও দু’টো জিনিসও কি পাওয়া যাবে না নাকি ? -পণ্ডিত মশাই, সাবধানের মার নেই, আমরা হোলাম ব্যবসাদার মানুষ, সব দিকে নজর রেখে চলতি হয়। কিনা ? কে জানে কি হয় মশাই ! Vo f ৰী-৪