পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

KBBDD DBDBBL DBDBDLD D BB TLL BBDD DDBYSLqDDS DtD আশ্চর্য কাণ্ড দেখলাম -दि १ ? -পয়সা হোলেও জিনিস মেলে না। এই প্ৰথম দেখলাম। কোনো দোকানেই নেই-আরও একটি কথা বললে দোকানদার। চালও কিনে রাখতে হবে নাকি । অনঙ্গ-বীে তাচ্ছিল্যের সঙ্গে বললে-দূর! রেখে দাও ওদের সব গাঁজাখুরি কথা। চাল পাওয়া যাবে না, নুন পাওয়া যাবে না, তবে দুনিয়া পৃথিমে লোকে বঁাচতে পারে ককখনো ? কি খাবে এখন ? ? }>)}ti Cfة-- অনঙ্গ টাটকা-ভাজা মুডি গাওয়া ঘিতে মেখে নিয়ে এসে দিলে-তার সঙ্গে . শসা কুচোনো । বললে--একটু চিনি দেবো, ওর সঙ্গে মেখে খাবে ? --নাঃ, চিনি আমার ভালো লাগে না। হাবু কোথায় ? -বাড়ী নেই। বিশ্বেস মশায়ের নাতির সঙ্গে ওর খুব ভাব হয়েছে কিনা ? ডেকে নিয়ে গেল এসে । বড় মানুষের নাতির সঙ্গে ভাব থাকা ভালো । সময়ে অসময়ে দু’টো জিনিস চাইলেও পাওয়া যাবে। সেজন্য আমিও যেতে বারণ কুরি নি। —এসে দু’টো মুড়ি খাও আমার সঙ্গে । অনঙ্গ-বেী। সলজ হেসে বললে-আহ রস যে উথলে “উঠচে । আজ বাদে কাল যে ছেলের বৌ ঘরে আনতে হবে খেয়াল আছে ? বলেই এসে স্বামীর পাশে বসে বাট থেকে এক মুঠো ঘি-মাখা মুড়ি তুলে নিয়ে মুখে ফেলে দিল। স্বামীর দিকে বিলোল কটাক্ষে চেয়ে বললে—মনে পড়ে, সেই ভাতছালায় বিলের ধারে একদিন তুমি আর আমি একই বাট থেকে চিড়ের ফলার খেয়েছিলাম ? হাবু তখন ছোট। অনঙ্গ-বৌয়ের হাসি ও চােখের বিলোল দৃষ্টি প্রমাণ করিয়ে দিলে সে বিগতযৌবনা নয়, পুরুষের মন এখনও হরণ করার শক্তি সে হারায় নি। গঙ্গাচরণ স্ত্রীর দিকে চেয়ে রইল মুগ্ধ দৃষ্টিতে। ফান্ধন মাসের শেষে গঙ্গাচরণ একদিন পাঠশালার ছুটি দিয়ে চলে আসছে, কামদেবপুরের দুৰ্গা পণ্ডিত পথে ওকে ধরে বললে-ভালো আছেন ? সেদিন গিয়েছিলেন কামদেবপুর, আমি ছিলাম না, নমস্কার। Voy