পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঘাড়ের ওপর পড়লো । তার মধ্যে একজন ওকে জাপটে ধরলে জোর করে ওর চটের থলে সুদ্ধ। গঙ্গাচরণ চমকে উঠে বললে-কে ? কে ? কর্কশ কণ্ঠে কে একজন অস্পষ্ট দিবালোকে বলে উঠলো-চল নিয়ে পালাচ্চো শালা-হাতে-নাতে ধরেচি । গঙ্গাচরণ বাকি মেরে উঠে বললে—কে চাল চুরি করেচে ? লোক C5Gar p লোক দু’জন ওর সামনে এসে ভালো করে মুখ দেখলে। গঙ্গাচরণ চিনলে ওদের, বন্যে বেড়ের দফাদার সাধুচরণ মণ্ডল এবং ঐ ইউনিয়নের জনৈক চৌকিদার। ওরা কিন্তু গঙ্গাচরণকে চেনে না। চৌকিদার বললে—শালা, লোক সবাই ভালো। সকলকেই আমরা চিনি। চাল ফেললি ক’নে ? —আমার নাম গঙ্গাচরণ পণ্ডিত, নতুন গাঁয়ে আমার পাঠশালা। চাল কিনতে এসেছিলাম বাপু, ব্ৰাহ্মণকে যা তা বোলো না । আমায় সবাই চেনে এ দিগরে ৷ CS(Y, se সাধুচরণ দফাদার ওর সামনে এসে মুখ ভালো করে দেখে বললে-এ দেখচি পুরোনো দাগী চোর। এর নাম মনে পড়াচে না, বঁধে একে । ঠিক সেই সময়ে নতুন গায়ের তিন জন লোক এসে পড়াতে গঙ্গাচরণ দাগী চোর ও চুরির অভিযোগ থেকে নিস্তার পেলে। এমন হাঙ্গামে গঙ্গাচরণ কখনো পড়ে নি। জীবনে । গঙ্গাচরণের ফিরতে রাত হয়ে গেল সেদিন। অনঙ্গ-বীে বসে আছে চালের আশায় । এত রাত কখনো হয় না হাট করতে যেয়ে । ব্যাপার কি ? বিনোদ কােপালীর বোন ভানু এসে বললে—কি কারচো ঠাকরুণ দিদি ? -এসো ভানু। বসো ভাই--দাদাঠাকুর ক’নে ? --রাধিকানগরের হাটে গিয়েচে, এখনো আসবার নামটি নেই। -আজি নাকি খুব হাংনামা হয়ে গিয়েছে হাটে। দাদা ফিরে এসেচে, তাই বললেন । অনঙ্গ-বেী উদ্বিগ্ন মুখে বললে-কি হাংনামা রে ভানু ? হয়েচে কি ? 8仓