পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

—বলুক গে। আমার সংসারে যদি দু’কাঠা চালের সাশ্রয় হয় তবে লোকের कथांठ कि अरिन यांकि ? —তুমি যা ভাল বোঝা কর, কিন্তু আমার মনে হচ্চে তোমার শরীর টিকবে না । -Gi CVStat; CFCN (< n তারপর অনঙ্গ-বেী হঠাৎ খিল খিল করে হেসে উঠে ঘাড় দুলিয়ে দুলিয়ে বললে--তোমায় ঠকিয়েচি গো তোমায় ঠকিয়েচি । গঙ্গাচরণ বিস্ময়ের সুরে বললে—কি ঠকিয়েচ ? —ঠকিয়েচি মানে চোখে ধুলো দিইচি। -কেন ? -কত দিন আগে থেকে আমি ধান ভানচি । --जडिा ? — সত্যি গো সত্যি। নইলে চালের হিসেব নিয়ে দেখো । দু’কাঠা চাল তো হাট থেকে কিনেছিলে। কত দিন খেলে মনে নেই ? -আমায় না জানিয়ে কেন আমন কারচো তুমি ? ছিঃ ছিঃ-কাদের श्रीन उठाना ? -হরি কাপোলীদের । শু্যাম বিশ্বেসদেৱ । -ক’কাঠা চালের জন্যে কেন কষ্ট করা ? ওতে মান থাকে না । ব্ৰাহ্মণের মেয়ে হয়ে কাপালীদের ধান ভানা ? লোকে জানলে কি বলবে বল তো ? এত ছোট নজর তোমার হলো কেমন করে তাই ভাবচি । --বেশ, লোকে আমায় বলে বলবে, আমার ছেলেপুলে তো দু’মুঠো পেট ভরে খেতে পাবে। তা ছাড়া কাপালীদের দুই বৌ ধান এলে দেয়। আমি শুধু টেকিতে পাড় দিই । --তুমি ধান এলে দিতে পারো ? এলে দেওয়া বডড শক্ত-না ? —এলে দেওয়া শিখতে হয়। তাড়াতাড়ি গড় থেকে যে হাত উঠিয়ে নিতে পারে সে ভালো এলে দিতে পারে। এলে দেওয়ানো শিখচি একটু একটু। গঙ্গাচরণ স্ত্রীর কথায় ভাবনায় পড়ে গেল। তার স্ত্রী যে তাকে লুকিয়ে এ কাজ করচে তা সে জানতো না । মাঝে মাঝে সে ভেবেচে অবিশ্যি, মাত্ৰ দু’কাঠা এক কাঠা চালে তার এক হাট থেকে আর এক হাট পৰ্যন্ত চলচে কি করে ? এত দিন লুকিয়ে লুকিয়ে অনঙ্গ-বৌ চালাচ্চে তা তো সে জানতো না, NS