পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অমুক লোক আজ পাঁচদিন ভাত খায় নি-ইত্যাদি। তবুও সবাই ভাবতে লাগলো, মানুষে কি সত্যি সতি না খেয়ে মরে ? কখনই নয়। তাদের নিজেদের কোনো বিপদ নেই। একদিন অনঙ্গ-বেী। খুব ভোরে ঘাটে গিয়ে দেখলে জেলেপাড়ার রয়ে জেলের বৌ ঘাটের ধারের কচুর ডাটা তুলে এক বোঝা করেচে। অনঙ্গ হেসে বললে—কি গা রয়েব-বেী, আজ বুঝি কচুর শাক খাবে ? জেলে-বেী যেন ধরা পড়ে একটু চমকে গেল। যেন সে আশা করে নি। এত ভোরে কেউ নদীর ঘাটে আসবে। লুকিয়ে লুকিয়ে এ কাজ করছিল সে, এমন একটা ভাব প্ৰকাশ পেলে ওর ধরনধারণে । সে মৃদু হেসে বললে-হঁ্যা মা । —তা এত ? এ যে দু-তিন বেলার শাক হবে। -जवांछे थांव शl, उाई । বলেই কেমন এক অদ্ভুত ধরনে ওর মুখের দিকে চেয়ে জেলে-বেী ঝর ঝর করে কেঁদে ফেললে । অনঙ্গ-বেী অবাক হয়ে বললে-ওকি রয়ের-বেী, কঁাদচিস কেন ? কি হলো ? রয়ের-বেী আঁচলে চোখের জল মুছে আস্তে আস্তে বলে-কচ্চি কি সাধে মা ? এই ভরসা । -केि डब्रजा ? -এই কচুর শাক মা। তিন দিন আজ কারো পেটে লক্ষ্মী দানা সেঁধোয় নি । -- বলিস কি রয়ের-বেী ? না খেয়ে --নিনক্যি, মা নিনক্যি-তোমার কাছে মিছে কথা বলবো না সকালবেলা । কার দোরে যাবো, কে দেবে মোরে এই যুজ্যের বাজারে। যুজ্যের আক্রা ভাত কার কাছে গিয়ে চাইবো মা ? তাই বলি এখনো কেউ ওঠে নি, গাঙের ধারে বড় বড় কচুর ডাটা হয়েচে তুলে আনি গে। তাই কি তেল নুন আছে মা ? শুধু সেদ্ধ। অন্নকষ্টের এ মূর্তি কখনো দেখেনি। অনঙ্গ । সে ভাবলে-আহা, আমার ঘরে যদি চাল থাকতো । আজ রয়ের বেী আর তার ছেলেমেয়েকে কি না। খাইয়ে থাকি ? জেলে-বো আপন মনেই বলতে লাগলো-এক সেরা দেড় সের মাছ ধরে। ve