পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s তত বেশি নয়, চাষা-মহলে গহনার কাজে সোনার চেয়ে রুপোর ব্যবহারই বেশি। কিন্তু এই দুদিনে গহনা কে গড়ায়, কাজেই দীনুর ব্যবসা অচল। দুটি বিধবা ভাই বৌ, বৃদ্ধ মাতা ও কয়েকটি শিশুসন্তান, তৃতীয় পক্ষের তরুণী ভাৰ্যা তার ঘাড়ে। দীনু বললে—পণ্ডিত মশায়, চাল পাবো ? -छू5ि शांe । ब७छ डिए । --ছুটি বা কোথেকে, পায়ে বাত হয়ে কষ্ট পাচ্চি বডড। দুবেলা খাওয়া छ्ग्न नेि -दव्या कि ? --সত্যি বলচি পণ্ডিত মশাই। বামুন দেবতা, এই অবেলায় কি মিছে কথা বলে নরকগামী হবো ? দীনু খোড়াতে খোডাতে সজোরে প্রস্থান করলে। গঙ্গাচরণ বাড়ী ফিরতে ফিরতেই কত লোক শুধু হাতেই হাট থেকে ফিরচে দেখা গেল। সাগরতলার কর্মকারদের বাড়ীতে একটু বসে তামাক খাচ্ছিল, এমন সময় দু-চার জন লোক সেখানে এসে জুটলো গল্প করতে । একজন বললে - নরহরিপুরের হাটে চাল পাওয়া গেল না, আর কোথায় পাওয়া যাবে বলুন ! আর একজন বললে--লোেকও জড়ো হয়েছে হাটে দেখুন গে। এক কাঠা চাল নেই। কেউ তিন দিন, কেউ পাঁচ দিন না খেযে আছে। আমারই বাড়ীতে দু'দিন ভাত খায় নি কেউ। গঙ্গাচরণ বললে-আটা ময়দা নিয়ে যে যাবে, তাও নেই। -বস্তাপচা আটা আছে দু-এক দোকানে, বারো আনা সের। কে খাবে ? আরও মাইলখানেক এগিয়ে গেল গঙ্গাচরণ। খলসেখালির সনাতন ঘোষ নিজের ঘরের দাওয়ায় বসে তামাক খাচ্ছে, ওকে দেখে বললে-পণ্ডিত মশাই, ওতে কি ? চাল নাকি ? -&J --কোথায় পেলেন ? -সে যা কষ্ট তা আর বোলো না। এক বুড়ীর কাছ থেকে সামান্য কিছু আদায় করেচি, তাও আগুন দর। -কই দেখি দেখি ? সনাতন ঘোষ নেমে সে ওর হাতের পুটুলিটা নিজের হাতে নিয়ে পুটুলি ጫ e