পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিজেই খুলে চাল দেখ৩ে লাগলো। ওর মুখটা যেন কেমন হয়ে গেল। চালের দানা পরীক্ষা করতে কবতে বললে- বড় মোটা । কত দািব নিলে ? একটা কথা বলবো পণ্ডিত মশাই ? --কি ? --দাম আমি যা হয দিচ্চি । আমায অর্ধেকটা চাল দিয়ে যান । দিতেই হবে । দু’দিন না খেযে আছে সবাই । মেযেকে শ্বশুবাবাডী থেকে এনে এখন মহা মুশকিল, সে বেচাবীব পেটে আজ দু’দিন লক্ষ্মীর দানা যায় নিকত চেষ্টা করেও চাল পাই নি সনাতন ঘোষেবা অবস্থা খাবাপ নয়, বাউীতে অনেকগুলো গরু, দুধ থেকে </ানা কাটিযে নবাহবিপুরের ময়বাদেব দোকানে যোগান দেয-এই তার ব্যবসা । গঙ্গাচবণ ইতিপূর্বে সমাতিনের বাডী থেকে দু-এক খালি টাটকা ছানা নিযেও গিযেচে । তার আজ এই দশা । কিন্তু চা । মাত্র সে নিযেচে তিন কাঠা । আর কোথাও চাল পাওযা যাচ্চে না । এ চাল দিলে তাব স্ত্রী-পুত্ৰ অনাহাবে থাকবে দু’দিন পবে। চাল দেওযাব ইচ্ছে তার মোটেই নই-এদিকে সনাতন মোক্ষম ধবেচে চালের পুটুলি, তার হাত থেকে চাল fন ৩ান্তই ছিনিয়ে নিতে হয তাহলে । কিংবা ঝগড়া কালতে হয । সনাতন ততক্ষণে কাকে ডেকে বললে- ওরে একটা ধামা নিযে আয তা বাডীর মধ্যে থেকে ? একটা কাঠাও নিযে আয সনাতন নিজেব হাতে এক কাঠা চাল যখন মেপে ঢেলে নিয়েচে, তখন গঙ্গাচবণ মিনতিসূচক ভদ্র তার সুবে বললে-আব না। সনাতন, আর নিও না -আর আধি কাঠা--না বাপু, আমি আব্ব দিতে পাববো না। বাড়ীতে চাল বাডম্ভবুঝলে না ? সনাতনেব নাতিটি বললে-দাদামশাই, ওঁর চাল আব্ব নিও না, দিয়ে দাও । সনাতন মুখ খিচিযে বলে উঠলো।--তোদেব জন্যি বাপু খেটে মরি, নিজের জন্যি কিসের ভাবনা । একটা পেট যে করে হোক চলে যাবেই। রইল পডে চাল, যা বুঝিস করগে যা। রাগ না লক্ষ্মী। গঙ্গাচবণ বিনা চক্ষুলজ্জায় সমস্ত চাল উঠিয়ে নিয়ে চলে এল। বাড়ী এসে দেখলে অনঙ্গ-বেী ভাত চডিয়ে ওল৷ কুটিতে বসেচে রান্নাঘরের y