পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রত্যেকের বাড়ী এসে চাল ধার চায়, কে কাকে দেবে ? অনঙ্গ-বীে দু'দিন ছেলেদের মুখে ভাত দিতে পারলে না, শুধু সজনে শাক সেদ্ধ। একদিন এসে কাপালী-বেী দুটো সুষনি শাক দিয়ে গেল, একদিন গঙ্গাচরণ কোথা থেকে একখানা থোড় নিয়ে এল। ভাতের ফ্যান চেয়ে ঘরে ঘরে ফিরচে ত্রিপুরা জেলা থেকে আগত মেয়েপুরুষ। গ্রামে হাহাকার পড়ে গেল। সন্ধ্যার দিকে রামলাল কােপালী এসে গঙ্গাচরণকে চুপি চুপি বললেপণ্ডিত মশায়, চাল নেবেন ? গঙ্গাচরণ বিস্ময়ের সুরে বললে- কোথায় ? —মেটেরা বাজিতপুর থেকে আমার শ্বশুর এক বস্তা চাল নিয়ে লুকিয়ে পালিয়ে এসেচেন আমার বাড়ী। দেড় মণ চাল, বেনা মুড়ি ধানের ভালো চাল । ছোট-বেী বললে-বামুন-দিদির বাড়ী বলে এসো। -কি দার ? -শ্বশুর বলচেন চল্লিশ টাকা করে মণ--- -আউশ চালের মণ চল্লিশ টাকা ? --তাই মিলচে না দাদাঠাকুর । আপনি তো সব জানো । গঙ্গাচরণ ইতস্ততঃ করতে লাগলো। দু’গাছা পাতলা রুলি আছে। অনঙ্গবৌয়ের হাতে। একবার গেলে আর হবে না। কিন্তু উপায় কি ? ছেলে।পুলেকে বঁচিয়ে রাখতে হবে তো ? বাড়ীতে এসে স্ত্রীর কাছে বলতেই তখুনি সে খুলে দিলে। এক মণ চালই এসে ঘরে উঠলো । রামলাল কােপালী বলে দিলে-চুপি চুপি নিয়ে যাবেন দাদাঠাকুর। সন্ধ্যার অনেক পরে চাল নিয়ে আসতে গিয়ে গঙ্গাচরণ ও তার দুই ছেলে পড়ে গেল নিমাই জেলের সামনে । সে নদীতে যাচ্চে আলোর মাছ ধরতে । ওদের দেখে বললে-কে ? গঙ্গাচরণ বললে-এই আমরা । - কে পণ্ডিত মশাই ? পোন্নাম হই । কি ওতে ? -४3 डाCछ । -ধান বুঝি - পণ্ডিত মশাই ? -&J নিমাই জেলের বিধবা মেয়ে পরদিন ভোর না হতে এসে হাজির । ro