পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-কিন্তু এ তোমরা থেয়ো না বামুন-দিদি। -6कन 6द्र ? -একি তোমাদের পেটে সহিত হয় ? আমাদের তাই সহি্যু হয় না। --তুই খা খ-এত ব্যক্তিমে দিতে হবে না তোকে । বিকেলে মতি এসে বললে-বামুন-দিদি, এক জায়গায় মেটে আলু আর বুনো শোলা কচু হয়েছে জঙ্গলের মধ্যে। একটা শাবল-টাবল দ্যাও, কেউ এখনো টের পায় নি, তুলে আনি। অনঙ্গ-বেী বললে—তুই একলা পারবি আলু তুলতে ? -কোন পারবো না ? দ্যাও একখানা শাবল-খাস নি, দুর্বল শরীর, ভিরমি লেগে পড়ে যাবি। তুই আর আমি যাইএই সময় কাপালীদের ছোট-বেী এসে জুটলো। বললে-কি পরামর্শ হচ্চে তোমাদের গা ? অতএব ছোট বৌকেও ওদের সঙ্গে নিতে হলো । গ্রামের উত্তর মাঠের নিচে সরাইপুরের বঁাওড়। বঁ। ওড়ের ধারে খুব জঙ্গল। জঙ্গলের মধ্যে একটা শিমুলগাছ মাথা তুলে দাড়িয়ে আছে। ষাড়াগাছের দুর্ভেদ্য ঝোপের মধ্যে হামাগুড়ি দিয়ে ঢুকতে হয়। ওরা এগিয়ে গিয়েচে অনেকখানি। কিন্তু অনঙ্গ-বেী আর কাপড় ছাড়াতে পারে না । কি বিশ্ৰী কঁাটা । মতি মুচিনী বিরক্ত হয়ে বললে--তখুনি বললাম তুমি এসে না। এখানে আসা কি তোমার কাজ ? কক্ষনে কি এসব অভ্যোস আছে তোমার ? সরো (死尔一 মতি এসে কঁাটা ছাড়িয়ে দিলে । অনঙ্গ-বেী রাগ করে বললে-ছালি তো এই সন্দেবোলা ? মতি হেসে বললে-নেয়ে মরো এখন বামুন-দিদি। --যা যা, আর মজা দেখতে হবে না তোমার--ঢের হয়েচে । আরও এক ঘণ্টা কেটে গেল। মস্ত বড় মেটে আলু লতার গোড়া খুড়ে সের পাঁচ ছয় ওজনের বড় আলুটা তুলতে ওরা সবাই ঘেমে নেয়ে উঠেচে। মতি মুচিনী মাটি মেখে ভূত হয়েছে, কাপালী-বেী লতার জঙ্গল টেনে ছিড়িতে ছিড়িতে হাত লাল করে ফেলেচে, অনঙ্গ-বেী একটু আনাড়ির মত আলুৱ একদিক ধরে বৃথা টানাটানি করচে গর্ত থেকে সেটাকে তুলবার প্রচেষ্টায়। )