পাতা:বিভূতি রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড).djvu/১৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবযান Rని —মরে গিয়েচ, এখন আবার বামুন-শুদ্ধ রই বা কি ? ওতে কি তোমার লাভ r রামলাল জিভ, কেটে দু’হাত তুলে নমস্কার করে বল্পে—বাপ রে! ও কথা বলতে নেই। বামুন জাত! আমরা হলাম তেলি তামূলী। আমি শুধু চোখে দেখেই খুঁশি । আমার ও সব ੇ "Η নজর নেই দাদা। সোনামণির হেঁসেলে বসেই আমার সব । ওকে পেয়েই আমার বেশ চলে शांtप्छ । —পেলে আর কি করে তা তো বুঝলাম না । **, —ওঁরই নামু পাওয়া। দেহে নেই, কি করবো বলে। সত্যি, একটা কথা দাদা। পৃথিবীতে জন্মাবার কৌশলট বলে দিতে পারো ? দেহ না ধরলে কোনো স্থখ নেই। মেয়েদের ভালো করে পাইনি জীবনে। ওদের না পেয়ে জীবনটাই ব্যর্থ হয়ে গিয়েচে আমার । —কেন, তুমি তো বিয়ে করেছিলে ? 鬱 রামলাল বিরক্তির সঙ্গে মুখ খিচিয়ে বল্পে আরে দূর, বিয়ে !—সে ওই বুড়োটার পাঙ্কায় পড়ে। নাতবোঁএর মুখ না দেখে নাকি মরবে না! আমার ঘাড়ে যা তা একটা চাপিয়ে দিয়ে বুড়ো তো পটল তুললে । আজকাল কেমন সব স্কুলে কলেজে পড়া মেয়ে দেখিচি কলকাতায় । তাদের শাড়ী পরবার কায়দাই আলাদা । কথাবার্তার ধরনই আলাদা ।—না সত্যি যতীনঙ্গা, তুমি আমার যথার্থ উপকার করবে, আমায় জন্ম নেওয়ার কৌশলটুকু বলে দাও দাদা । মেয়েমানুষের সঙ্গে দুদিন প্রাণভরে ভালবাসা করে মিলেমিশে আসি দুনিয়াতে ফিরে । আমার বুকের ভেতরটা সর্বদা হু হু করে দাদা। ও জিনিসটা আমি জানিনি—সত্যিকার মেয়েমানুষ পাইনি । স্বগগে-টগ গে তোমরা যাও—আমি তো কারো কোনো অনিষ্ট করতে চাইচিনে ভাই । আমার নেয্য অধিকার চাইচি। সবাই দিব্যি কত ফুর্তি করচে–আমি অল্পবয়সে মরে গেলুম, যে বয়সে ভোগ করার কথা সেই বয়সে । অামার একটা হিল্পে করো, তোমার পায়ে পড়ি দ্বাদ । মেয়েমানুষ না পেলে স্বগগে গিয়ে আমার কোনো স্থখ হবে না । বুড়োটার সঙ্গে দেখা হোলে তাকেও বোলো । তিনি এখন আসেন আমায় উপদেশ দিতে ! তুমি জানো, বিয়ের আগে বন্ধু পালের মেয়ে সরলার সঙ্গে আমার একটু ভাব হয়েছিল । মেয়েটা কেষ্টনগরে মেয়ে-ইস্কুলে পড়তো । দুবার আমার সঙ্গে লুকিয়ে আলাপ করেছিল। টাকা পাবে না বলে ঐ বুড়ে সেখানে আমার বিয়ে দিতে চাইলে না । সেও দিব্যি মেয়ে ছিল । இ. —এখন সে কোথায় ? e —কেষ্টনগরে বিয়ে হয়েচে । শ্বশুরবাড়ী থাকে। আমি সেদিন গিয়ে একবার দেখে এসেচি। কষ্ট হয় বলে যাইনে। তার চেয়ে আমার সোনামণিই ভালো । কি চমৎকার একটি তিল ওর নাকের বী-দিকে—দেখনি ?...চয়ে ? তাহলে—শোনো শোনো—তোমাদের তো অন্তর্ধান হোতে সময় লাগে না একমিনিটও। এই আছে এই নেই। তোমরা হোলে স্বগগের মানুষ । তাহলে—আমার একটা উপায়— যতীন ততক্ষণে বুড়োশিবতলার ঘাটে এসে পৌঁছেচে। পূপের প্রশ্নের উত্তরে বলে—হোল না। একেবারে বুভূক্ষু আত্মা। ওকে পুনর্জন্মে পাঠাবার ব্যবস্থা করে পুষ্প । মেয়েমানুষের