পাতা:বিভূতি রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড).djvu/৩০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఏ ఆ বিভূতি-রচনাবলী —“কিছু টাকা এখন দরকার। যা ছিল জার্মানিতে রেখে এসেছি। ব্যাঙ্কের টাকা এক মার্কও তুলতে দিলে না, একরকম সর্বস্বাস্ত ।” —“আমি রানাঘাটে বিশেষ চেষ্টা করছি, সার ।” —“ওখানে বড় হল পাওয়া যাবে কি ?” —“তেমন নেই। তবে মিউনিসিপ্যাল হল আছে, মন্দ নয়, কাজ চলে যাবে।” রায় বাহাদুর কিছুক্ষণ পরে বিদায় লইতে চাহিলেন, ভাবিলেন এত বড় লোকের সময়ের ওপর অত্যাচার করিবার দরকার নাই । আইনস্টাইন বলিলেন—“আমার কিছু ছাপা কাগজ ও বিজ্ঞাপন নিয়ে যান। যে বিষয়ে বক্তৃত হবে, সে আপনাকে পরে জানাব, টিকিটের দাম কত করব ?” —“খুব বেশি নয়—এই ধরুন—” --“তিন মার্ক—দশ শিলিং ?” —“আজ্ঞে না সার। সর্বনাশ ! এ সব গরিব দেশ। দশ শিলিং আজকাল দশ টাকার কাছাকাছি পড়বে। ওদামে টিকিট কেনবার লোক নেই এদেশে, সার।” * —“পাচ শিলিং ?” —“আচ্ছা, তাই করুন। ছাত্রদের জন্যে এক শিলিং।” আইনস্টাইন হাসিয়া বলিলেন, “ইউনিভার্সিটির ছাত্রদের টিকিট কিনতে হবে না। আমি নিজেও স্কুল-মাস্টার। আমার ওপর তাদের দাবি আছে। বম্বে ও বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটিতেও তাই হয়েছিল। ছাত্রদের টিকিট কিনতে হবে না। এই নিয়ে যান ছাপা হ্যাগুবিল ও কাগজপত্র—” রায় বাহাদুর বিল হাতে পাইয়া পড়িয়া দেখিতে গিয়া বিষগ্নমুখে বলিলেন—“এ কি সার ? এ যে ফরাসী ভাষায় লেখা !” o —“ফরাসী ভাষায় তো বটেই। প্যারিসে বক্তৃতা দেওয়ার সময় ছাপিয়েছিলাম। কেন, ফরাসী ভাষা বুঝবে না কেউ ? আমি তো সেদিন শুনলাম এখানে ইউনিভার্সিটিতে ফরাসী পড়ানো হয় ।” o —“আঞ্জে না । সে হয়তো এক-আধজন বুঝতে পারে। সেভাবে ফরাসী ভাষা পড়ানো হয় না। এখানে ইংরিজিটাই চলে। কেউ বুঝবে না সার ।” —“তাই তো ! আপনি ইংরিজিতে অনুবাদ করে নিয়ে ওখানে কোনও প্রেলে ছাপিয়ে নেবেন দয়া কুয়ে f” —“তা—ইয়ে—তা—আচ্ছা সার ।” রায় বাহাদুর মনে মনে ভাবিলেন—এখান থেকে বালিগঞ্জে গিয়ে বিনোদের শরণাপন্ন হইগে । ছোকরা ভাল ফ্রেঞ্চ জানে। কাহাতক আর একজন এত বড় লোকের সামনে জানি নে মশাই’ বলা যায় ! & বিনোদ চৌধুরী তার বড় শালা। পণ্ডিত লোক। অনেক রকম ভাষা তার জানা আছে। লে উৎসাহের সঙ্গে বিলগুলির বাংলা ও ইংৱিজি অহাৰ করিয়া দিয়া বলিল—“আমি চাটুধ্যে