পাতা:বিভূতি রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড).djvu/৩৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$8 বিভূতি-রচনাবলী প্রতুল যাবার উদ্যোগ করতেই সুধাংশুবাৰু ওকে জানালেন-বাড়ীর মধ্যে বলেছে এ-বেলা যাওয়া হবে না তার। খেয়ে-দেয়ে ও-বেলা ধীরে-সুস্থে গেলেই চলবে । • প্রতুলে সম্বন্ধেও সুধাংশুবাৰু অনেক কথা জানলেন কথায় কথায় । সে এম. বি. পাশ করেছে আর বছর, চা-বাগানে চাকরি করে, এক-শ'ট টাকা মাইনে। ওরা রাঢ়ীশ্রেণী ব্রাহ্মণ, বাবা-মা বেঁচে আছেন, দেশে জায়গা-জমি আছে, ইত্যাদি ইত্যাদি । বাঙালীর সংসার, বাপ-ম-মরা বয়স্থ মেয়ে কাকার ঘাড়ে, পাত্র হিসাবে প্রতুল ভালই, সম্মুখে শুভ বৈশাখ মাস। অতএব, এর পরে আর খুব বেশি কিছু বলবার নেই, থাকবার কথাও নয়। ভাটিখালি চা-বাগানের সেই কোয়ার্টারে প্রতুল একদিন তার তরুণী পত্নীকে ঠাট্টার স্বরে বলেছিল—কি, আর বাক্স-বদল করবে ? অমিয়া ক্রোধে ঘাড় বেঁকিয়ে উত্তর দিয়েছিল, ব’লো না! কি কষ্ট সেদিন আমার। কলেজে যাব—বাক্স খুলে দেখি ধুতি, গেঞ্জি, লুঙি, শাট। মাগে, আমার চোখে জল এল ! কি পরি তখন বুঝি নে। বাড়ীতে ম্বিতীয় মেয়েমানুষ নেই, , নেয়ে উঠে কি পরি তার নেই ঠিক । কি বিপদ গিয়েছে সেদিন আমার! আর বাক্স-বদল হোল নাকি একজন গেয়ে লোকের সঙ্গে ! বাক্সের মধ্যে আবার চিড়ে, গুড়, পুরনো তালিদেওয়া জুতো—উঃ মাগো ! প্রতুল বললে—হায় হায়, বাক্স-বদল তো পদে আছে, সেই গেয়ে লোকটার সঙ্গে একদিন মালা-বদল হয়ে যাবে তা কি আর তখন জানতে! মুলো—র্যাডিশ-হস র্যাডিশ নবীনবাৰু ঘুম হইতে উঠিয়া কয়লা চাকরকে তাকাডাকি করিতেছেন শুনিতে পাইয়াও আবার চাদর মুড়ি দিয়া পাশ ফিরিয়া শুইয়া এবং তার একটু পরে বোধ হয় ঘুমাইয়াও পড়িয়াছি। জানালার ফাক দিয়া পাশের আতাগাছের ডাল যখন দেওয়ালের গায়ে অনেকখানি রোদের মধ্যে ছায়া স্বাক্ট করিয়াছে, তখন কয়লার ডাকে তন্ত্ৰ ভাঙিল। —বাবুজি চা তৈয়ার ! —চা ? এখানে নিয়ে আয়, বিছানায় । নবীনবাৰু বোধ হয় প্রাক্তন্ত্রমণ সারির আমার ঘরের পাশের সরু করিডোর দিয়া গৰ্টুগট, করিয়া চলিয়া গেলেন, আমার আলস্তের প্রতি কটাক্ষ করিয়াই বেশ জোরে জোরে পা ফেলিয়া গেলেন। চা-পান বিছানায় বসিয়াই শেষ করিয়া উঠিব উঠিব ভাবিতেছি, এমন সময় নবীনবাৰু তাড়াতাড়ি আলিয়। আমার বিছানার পাশের দিকের জানালায় দাড়াইয়া বলিলেন—উঠুন মশাই, বোধপুরী স্থলে এসেছে, র্যাডিশ । & আমি চটপাত্রে দিতে দিতে বললাম—হল র্যাডিশ এক, নামিল সোরাবজিকে নিয়ে । নবীনবাৰু য়াগ করিয়া বলিলেন-আমুন না, উঠেই আসুন না। মিস সোরাবজির বাবা