পাতা:বিভূতি রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড).djvu/৩৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিধু মাষ্টার । 8th টাকা ধার দিয়েছিল—তার পরে সেও তো মরে গেল । হাওনোটখান এখনও আছে, হ্যা বাবা, उiएउ क्छूि एग्न ? বুড়ীকে বলিলাম, চোদ্দ বছর পরে সে হাওনোটে আর কিছু হইবে না। রাখিয়া ঘরের জঞ্জাল বৃদ্ধি ছাড়া অন্ত কোন সার্থকতা তার নাই । 驗 হঠাৎ আমার একটা কথা মনে পড়িল । বলিলাম—আচ্ছা, ওর সঙ্গে একটা ছোকরাকে বেড়াতে দেখেছিলাম। সে কে জানেন ? বুড়ী বলিল—শুমবর্ণ একহারা চেহারা তো ? বছর বাইশ বয়েস ? ও তো তার দেওর । পুন্ধর জ্যাঠতুত ভাই—দমদমার বাসায় থেকে পড়ত। আমার কতদিনের ভুল ভাঙিয়া গেল। কি অবিচার করিয়াছি স্বলোচনার প্রতি । স্বলোচনা যে-যুগে বাহিরে চলাফেরা করিত, সে যুগে মেয়েদের অমন ভাব কেহ পছন্দ করিত না বলিয়াই তাহার নামে নানা কথা উঠিয়াছিল। সেই তরুণীর সচেতন অন্তরাত্মা যাহাকে তালবাসিয়াছিল, তাহারই একনিষ্ঠ ধ্যানে সে দিনের পর দিন বৃথা অপেক্ষা করিয়া মরিত আশার কুহকে । இ ক্যাম্বেলের সামনে দিয়া ট্রামে যাতায়াত করিবার সময় অভাগী সুলোচনার কথা আজকাল বড় মনে পড়ে । বেচারী কলিকতায় বোমার হাঙ্গামা উপলক্ষে বহুদিনের কলিকাতা-বাস ত্যাগ করিয়া সপরিবারে গিয়া ভগ্নীপতির বাড়ী আশ্রয় লইয়াছি । একেবারে অজ পাড়াগ । রেল স্টেশন হইতে সাত ক্রোশ রাস্ত হাটিয়া অথবা গরুর গাড়ীতে গেলে গ্রামে পৌছানো যায়। ভগ্নীপতিদের মেটে বাড়ী, তাহাদেরই স্থান সঙ্কুলান হয় না ; তবে বিপদের দিনে, আপাতত বোমায় মরিতে বলিয়াছি দেখিয়া তাহারা নিজেদের অসুবিধা করিয়াও বাহিরের ঘরখানি আমাদের জন্ত ছাড়িয়া দিল । আমরা গরুর গাড়ী হইতে নামিতেই দেখি বাহিরের ঘর হইতে তিনটি তোরঙ্গ, একটি বড় বিছানা, গোটা দুই পুটুলি স্থানান্তরিত হইতেছে। জিজ্ঞাসা করিয়া জানিলাম আমার ভগ্নীপতির মেজভাইয়ের গুগলীপতি-ভ্ৰাতাও সপরিবারে ইছাপুর ন দমদম হইতে সপ্তাহ খানেক পূৰ্ব্বে আসিয়া এখানে আশ্রয় লইয়াছেন এবং বাহিরের ঘরে র্তাহারাই ছিলেন। বাড়ীর মধ্যে রান্নাঘরের পাশে যে নাতিক্ষুদ্র ভীড়ার ঘর আছে, আপাতত সেখানাতেই তাহাদের থাকিবার ব্যবস্থা করা হইল । বহুদিন কলিকাতায় বাসা করিয়া আছি, বাড়ী করিবার সঙ্গতি অবশু নাই। সঙ্গতি ছিল না এজন্ত ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিলাম, জাপানী বোমার ঘায়ে সে বাড়ী কতক্ষণ টিকিত ? আমার যে-সব বন্ধুবান্ধবকে কলিকাতায় বাড়ী করিবার জন্ত এতদিন হিংসা করিতাম, আজ তাহদের