পাতা:বিভূতি রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড).djvu/৩৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* * ষিধু মাষ্টার ፴ጳ গিয়েছে। তোমার বাবা বাড়ী আছেন খোকা । বুঝিতে পারিলাম না কে হরিজীবন । কিন্তু এই বালকটির মুখের আদল আমার অত্যন্ত পরিচিত মনে হইল, যেন পূৰ্ব্বে এ ধরনের মুখ কোথায় দেখিয়াছি। 劇 i বাড়ীর দরজায় পা দিতেই দরজার আড়াল হইতে যে হাসিমুখে বাহির হইয়া আসিল, তাহাকে দেখিয়াই চমকাইয়া উঠিলাম। ইহাকে তো চিনি ! অনেক দিন আগে ইহার সহিত খুব জানাশোনা ছিল। কিন্তু নাম কিছুতেই মনে আনিতে পারিলাম না। মেয়েটি আমার পায়ের ধূলা লইয়া প্রণাম কবিয়া বলিল—কি যতীনদী, চিনতে পারেন ? কে বলুন তো ? —এস এস—থাক। কল্যাণ হোক। ভাল আছ বেশ ? সঙ্গে সঙ্গে আমি প্রাণপণে মেয়েটির নাম মনে অনিবার চেষ্টা করিলাম। আমার মনে পড়িল ইহার সঙ্গে আলাপ হইবার একমাত্র সম্ভবপব স্থান হইতেছে কৃষ্ণনগব, যেখানে থাকিযা কলেজে পডিয়াছিলাম—অন্ত কোথাও মেয়েদের সঙ্গে আমার আলাপ হ্য নাই। কিন্তু ষোল-সতেব বৎসব পূৰ্ব্বেব সেই দিনগুলিতে, ভাবিয়া দেখিলাম অনেকগুলি মেয়ের সঙ্গে আলাপ হইয়াছিল শুধু এই কারণে যে, আমি যে বাড়ীতে থাকিতাম সে বাড়ীতে সঙ্গীতচর্চা উপলক্ষে পাডার অনেক মেয়ে জড হইত। তাছাড়া কবিতা আবৃত্তিব প্রতিযোগিতা, ছোট ছোট মেয়েদের থিয়েটার প্রভৃতি সম্পর্কে মেয়েদের সাহায্য কবিতে অনেকবাব অমুরুদ্ধ হইতাম—সে উপলক্ষেও অনেক মেয়ের সংস্পর্শে আসিয়াছিলাম ! সেখানেই যদি ইহাব সহিত দেখাশুন হটয়া থাকে তবে নাম মনে আনিবার চেষ্টা {{i | <şt#o their name is Legion. —বস্কন যতীনদ । —ইয়ে—গিয়ে, বসব বটে, কিন্তু ঘুরে আসি, সভা রয়েছে কিনা ? সভার টাইম প্রায় হয়ে গেল । G মেয়েটি হাসিয়া বলিল—উঃ, আপনি আবার সাহিত্যিক হয়েছেন, সভায় সভাপতিত্ব করবেন, এসব ভাবলে আমাব হাসি পায় । উঃ কি বখাটেই ছিলেন ! চুপ করিয়া রছিলাম—যদিও ঠিক বুঝিলাম না আমার মধ্যে বখাটেগরির কি দেখিয়ছিল এ। এবং আমার তো মনে হয় না আমি সত্যিকাবের বখাটে যাহাকে বলে, তাহা ছিলাম কোনদিন । কিন্তু তাহ লইয়া তর্ক তুলিবার ইহা সময় নয়। মেয়েটি আবার বলিল—কতদিন ভেবেছি আপনি কোথায় চলে গেলেন, আপনার সঙ্গে হয়তো আর দেখা হবে না ! কিন্তু ভগবান দেথা করিয়ে দেন এমনি করে । আমি এবার ইহাকে অনেকখানি মনে আনিতে পাবিয়াছি। জিজ্ঞাসা করিয়াই ফেলিলাম—তোমার নাম শান্তি না ? মেয়েটি খিল খিল করিয়া হাসিয়া উঠিল। —কেন, সে সম্বন্ধে সন্দেহ আছে নাকি ? বলিতে পারিলাম না যে, সম্বেহুতো দূরের কথা, নামটাই মনে ছিল না এতক্ষণ। কিন্তু এবার ইহাকে বুৰিয়া ফেলিয়াছি। আজ পনের-ষোল বছর আগে ইহার সঙ্গে আলাপ হইয়া ‘W