পাতা:বিভূতি রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড).djvu/৩৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ጫ.. বিভূতি-রচনাবলী —ম, ওসব শুনব না। বরং টরং না, আসতেই হবে বলে দিলাম। আমি পথের দিকে চেয়ে থাকব— Q —আসব।' পথে উঠিয়া দেখি, শাস্তি রান্নাঘরের জানালায় দাড়াইয়। পথের দিকে একদৃষ্টে চাহিয়৷ আছে । t বাড়ী ফিরিয়া স্ত্রীর কাছে ঘটনাট বলিব ভাবিয়াছিলাম। কিন্তু শেষ পৰ্য্যস্ত না বলাই যুক্তিযুক্ত বিবেচনা করিলাম। কবি কুণ্ডু মশায় میر আজ দশ বৎসর পূৰ্ব্বে এ ঘটনার প্রথম আবম্ভ। আমি খুব আশ্চর্ম্য হযেছি বলেই এ গল্প লিখতে বসেছি। পূজোর সময় প্রত্যেক লেখকের কাছেই সম্পাদকের তাগিদ যায় মিশাই, গল্প দেবেন একটা যত সত্বব হয়।’ এরা হলেন পেশাদার গল্পলেখক ও ঔপন্যাসিক । হাতে পয়সা না পেলে এদের মন ভার হয়ে ওঠে, লেখনীও বিরূপ হয়। গল্প আছে, টাকাটা পাঠিযে দেবেন। কেনই বা বলবেন না, লেখকদেরও তো থেয়ে-পরে বাচতে হবে । খুব বড় একটা সাহিত্যসভায় বসে এই কথাটা মনে হয়েছিল। পত্রপুষ্পশোভিত তোবশদ্বার, মস্ত বড মণ্ডপ, বহু বিশিষ্ট লেখক ও সাহিত্যামোদী জনগণের সমাগম, আদর-আপ্যায়নও যথেষ্ট । পল্লীগ্রামের অজ্ঞাতনামা কত কবিযশ:গ্রার্থী হতভাগ্যদের সঙ্গে আমার কতবার পরিচয় ঘটেছে, কোনও সাহিত্যসভায় তাদের স্থান হয়নি কোনদিন । অথচ তাদের মধ্যে প্রকৃত কবিমন, কল্পনার উদার প্রসার, ছন্দের বা কোনও শব্দের সৌন্দৰ্য্য সম্বন্ধে জ্ঞান নিতান্ত দুৰ্ল্লভ নয়—কিন্তু তাদের নেই কি, তাও আমি জানি। তাদের নেই বর্তমানের উপযোগী বিষয় নিৰ্ব্বাচনের ক্ষমতা। তাদের দৃষ্টি ১২৯০ সালেব বাংলায় পড়ে আছে আজও—ভারতচন্দ্র রায় গুণাকরের, দাশবথি রায়ের প্রভাব তারা আজও কাটিয়ে উঠতে পারে নি । সেবার গরমের ছুটিতে দেশে আছি । রাত প্রায় এগারটা বাজে, বিছানায় ছটফট করার পবে একটু নিদ্রাকৰ্ষণ হয়েছে মাত্র। —আছেন নাকি শুামবাৰু ? s এত রাত্রে অপরিচিত স্বরে কে ডাকে বুঝতে না পেরে বাইরে এসে বললাম—কোথা থেকে আসছেন ? & g অন্ধকার স্নাত। দেখলাম আগন্তুক বিনা আলোয় এসেছে, যেখান থেকেই আসুক। লণ্ঠন জেলে বাইরে আবার-গিয়ে আগন্তুকের চেহারা এবার ভাল করে দেখলাম। বৃদ্ধ লোক,