{r. वेिङ्कडि-ब्रप्टनाक्नौ
একটা ছবি ।
রতিকান্ত বললে-ভাই, বাড়ীওয়ালাকে ডাকবে ?
--ডাকে {
—আবার এরই কেউ না হয়—তাহলে হয়তো চটে যাবে।
—তুমি ডাকো। যা হয় হবে।
কথা বলতে বলতে একটু অন্যমনস্ক হয়েই পড়েছিলাম দু-জনে বোধ হয় কয়েক সেকেণ্ড । পরক্ষণেই সামনের দিকে চেয়ে দেখি কোথায় সেই দোদুল্যমান তরুণী নারীমূর্তি ! কিছুই নেই সে গাছের তলায়। ওই তো সেই বাকা ডালট, জ্যোৎস্নায় স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠেচে গাছটার শুভ্র কাও ; পাশের বেঁটে ওক গাছটা তেমনি দেখা যাচ্চে–কিন্তু কেউ কোথাও নেই, গাছের তলা
একদম ফাকা ।
রতিকান্ত বললে—ওকি কোথায় গেল ?
—তাইতে !
—আশেপাশে নেই তো ?
কয়েক সেকেণ্ডের মধ্যে কেউ পালাতে পারে না—আমাদের দু-জনের চোখ এড়িয়ে এই জ্যোৎস্নালোকিত উপত্যকা থেকে। যাবার আর কোনো রাস্তা নেই, বাজারে যাবার ওই সঙ্গে পায়ে চলার পথ ছাড়া। পেছনে উচু পাহাড়টা। বনের নীচে আগাছার জঙ্গল নেই বাংলাদেশের মত—বেশ পরিস্কার তলা দেখা যাচ্চে জ্যোৎস্নায় । সম্ভব নয়, কোথাও লুকানো বা পালানো আমাদের চোখ এড়িয়ে—এত অল্প সময়ের মধ্যে ।
রতিকান্ত বললে—ব্যাপার কি ?
—তাইতো আমিও ভাবচি !
—এ দেখচি একেবারে ম্যাজিক—
—সেই রকমই মনে হচ্চে ?
-কি করা যাবে এখন ?
--শোয়া ও ঘুমুনো ।
রাত বড় বেশি ছিল না। ঘণ্টাখানেক ঘুমিয়ে উঠে রতিকান্ত ও আমি দেখি নাথুর তখনও নাক ডাকচে । ওকে উঠিয়ে জিনিস-পত্র গুছিয়ে নিতে বলে আমরা আবার এসে বারান্দায় দাড়ালুম। ওই সেই গাছটা, ওই সেই বাক ভালটা। সত্যি সত্যি কাল শেষ রাতের দিকে আমরা জু-জনে এই বারান্দায় দাড়িয়ে সেই অদ্ভুত দৃগুটি দেখেটি কিন্তু আমাদের নিজেদের কাছেই মনে হচ্চে ওটা আসলে ঘটে নি, হয়তো রাত্রির স্বপ্ন । 帶)
স্বপ্ন ? কি জানি ?
দাড়িজাল রে নিষ্ট বা নিয়ে আমরা মােটরের পাশে জল দাঁড়ালাম। জামাদের মােকানী বন্ধ চেয়া মূল কাঠের ভাল উন্ন দিয়ে আগুন জালানাের চেষ্টা করছে।
পাতা:বিভূতি রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড).djvu/৪২৬
পরিভ্রমণে ঝাঁপ দিন
অনুসন্ধানে ঝাঁপ দিন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
