পাতা:বিভূতি রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড).djvu/৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&\o বিভূতি-রচনাবলা হয়তো তাকেই তোমরা ওই নামে ডাকো । স্বধার বোনের দিয়ে হয়ে গেল, বরকনে বাসরঘরে চলে গিয়েচে এই মাত্র । গরীবের ঘরের বিয়ে, তবুও উঠানে ছোট শামিয়ান টাঙানো হয়েচে প্রতিবেশীর বাড়ী থেকে চেয়ে এনে, আধমণটাক ময়দার লুচি ভাজ হয়েচে বরযাত্রী ও প্রতিবেশীদের খাওয়ানোর জন্যে, তারা খেতেও বগেচে । গ্রামের বেী-ঝির দল গেজে গুজে বাসরঘরে ঢুকে বরের চারপাশে ভিড় জমিয়ে তুলচে । প্রণয়দেবী ঘরে ঢুকে এক কোণে দাড়িয়ে প্রসন্নদৃষ্টিতে চারিদিকে চাইলেন, যেন মনে মনে সকলকে আশীৰ্বাদ করলেন । আজকার দিন এবং সময় তার চরণপাতের শুভ সুযোগ পেয়ে ধষ্ঠ হয়ে গেল । 粤 কিন্তু যতীন বিষণ্ণ মনে এক পাশে দাড়িয়ে ছিল- আজকার বিবাহ-উৎসবের দৃশ্যে তার মনে হচ্ছিল, আশার সঙ্গে এমন এক উৎসবের মধ্যে তার বিয়ে হয়েছিল, কিন্তু আজ কোথায় সে আর কোথায় আশ । সুধার মত আজ সে বিধবা, জীবনের সব সাধ তারও আজ ফুরিয়ে গিয়েচে পরের সংসারে পরের হাততোলা থেয়ে— х পুষ্প ধমক দিয়ে বল্পে - যতীন-দা । এই সময় প্রণয়দেবী বল্লেন -সুধা রান্নাঘরের কোণে বসে র্কাদচে, একটু ওর পাশে গিয়ে দাড়াও পুষ্প । পুষ্প এসে দেখলে সুধার স্বামীও সেখানে উপস্থিত । তারও চোখে জল । মরণের যবনিকার আড়ালে প্রেমের এই লীলা পুষ্পকে মুগ্ধ করলে । প্রেম মরণজয়ী, এই সত্যটা এই দুতে যেন পুষ্পের মনে ভাল করে অঙ্কিত হয়ে গেল । একটু পরে প্রণয়দেবী নিজে সেখানে এসে দাড়ালেন । মধার মাথায় তার হাত রেখে BBB S BB BB BB BB S BB BB BBB BBS BB BB BBB BB BB রয়েচে আমার পৃথিবীতে - তাদের ছেড়ে স্বগেও যেতে পারি নে। পুষ্প বল্লে--আপনার মত দেব ইচ্ছে করলে স্বধার কোনো উপকার হয় না? ---আমি সেবা করতে পারি, বিশ্বের শক্তি নিয়ন্ত্রণ করবার আমি কে ? আমার মত হাজার হাজার আছেন দেবদেবী। তা ছাড়া পৃথিবীর মানুষদের নিয়ে আমার কারবার । অগণ্য জীবলোক রয়েচে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে –তাদের জন্যে অন্য সব দেবদেবী আছেন । —র্তাদের আপনি জানেন ? —জানি তারা আছেন—পরিচয় সকলের সঙ্গে নেই। আমাদের শক্তি মামুষের চেয়ে হয়তো বেশী, তবুও সীমাবদ্ধ। চলে আমরা এখান থেকে চলে যাই । সেদিন যতীন বুড়োশিতলার ঘাটে একা বসে অন্যমনস্কভাবে আশালতার কথা ভাবলে অনেকক্ষণ । পুষ্প ওকে স” কথা বলেচে, প্রণয়দেবীর মুখে যা কিছু শুনেছিল । তিনিই যখন অদৃষ্টকে উন্টে দিতে পারেন না, সে তো অতি তুচ্ছ ওঁর কাছে—কি করতে পারে সে ? অাশাকে তার নিজের ভাগ্যের পথে চলতে হবে ।