રGo विङ्कडि-ब्रळनांवली
ছিঃ ছিঃ ! ওবেল কচুরি দেব এখন খেতে । আর ককখনো অমন খেও না। তাও বলি, এই না হয় ছেলেমানুষ—ভূমি বুড়ো ধাড়ি, তুমি কি বলে বামুনের ছেলের পাতে—ছি ছি, লোকেরও বলিহারি যাই— _
বলা বাহুল্য প্রভা এসব কথা শুনতে পায় নি, সে এদিকেও ছিল না । বললাম—মাকে যেন বলে দিও না ! —ই আমি যাই তোমার মাকে বলতে আমার তো খেয়ে দেয়ে কাজ নেই। —বললে মা মারবে কিন্তু । —মার খাওয়াই ভাল তোমার ! তোমার নোলা জবা হয় তাহলে । বাড়ী ফিরতেই মা বললেন—কোথায় ছিলি ? —ওই মোড়ে । —আর কোথাও যাস নি তো ?
—না |
একদিন কিন্তু ধরা পড়ে গেলাম। সেদিন দোষটা দিল কুস্কমেরই। সে আমাকে বললে —চল খোক, বেড়াতে যাই । যাবে ?
বিকেলবেলা । রোদ বেশি নেই। ট্রাম লাইনের ওপারে যেতে দেখে আমি সভয়ে বললাম
—ম বড় রাস্ত পার হতে দেয় না । বারণ করেছে।
—চল আমি সঙ্গে আছি, ভয় নেই। বড় রাস্ত পার হয়ে আর কিছু দূরে একটা খোলার বস্তির মধ্যে আমরা ঢুকলাম। একটা সরু গলির দুধারে ঘরগুলো । যে বাড়িতে আমরা ঢুকলাম, সেখানেও সবাই মেযেমান্থব, পুরুধ কেউ নেই। একজন মেয়ে বললে—আয় লো কুস্মি কতকাল পরে—বাবা, আমাদেরও কি আর নাগর নেই ? তা বলে কি অমন করে ভুলে থাকতে হয় ভাই ?
আমার দিকে চেয়ে বললে—এ খোকা আবার কে ? বেশ স্বন্দর দেখতে তো । —বামুনদের ছেলে। আমাদের গলিতে থাকে। আমার বড্ড ন্যাওটা। —বা —বসো খোকা, বসো । s —ও ছেলের শুধু ভাই খাই-খাই । খেতে দ্যাও খুব খুশী –তাই তো, কি খেতে দিই। ঘরে কুলের আচার আছে, দেব ? আমি অমনি কিছুমাত্র না ভেবেই বলে উঠলাম—কুলের আচার বড় ভালবাসি । কুস্কম মুখ ঝামটা দিয়ে বললে—তুমি কী না ভালবাস। খাবার জিনিস হলেই হল। না ভাই, ওর সর্দিকাসি হয়েছে। ও ওসব খাবে না। থাক ।
আমার মনে ভয়ানক দুঃখ হল। কুস্কম খেতে দিলে না ফুলচুর। কখন হল আমার সর্দিকাসি ? কুলচুর আমি কত ভালবাসি।
খানিকট সে-বাড়িতে বসবার পরে আমরা অন্য একটা ঘরে গেলাম। তারাও আমাকে
পাতা:বিভূতি রচনাবলী (একাদশ খণ্ড).djvu/২৭০
পরিভ্রমণে ঝাঁপ দিন
অনুসন্ধানে ঝাঁপ দিন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
