পাতা:বিভূতি রচনাবলী (একাদশ খণ্ড).djvu/২৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

८णiङिखॆिनं) R&& —চল ওদিকে । কথা আছে । —চলুন খাবার ঘরে বলবেন। খাবার ঘয়ে গিয়ে বললাম—কুসুম, আমায় চিনতে পার ? —না বাৰু। —নন্দরাম সেনের গলিতে আমাদের বাসা ছিল। আমি তখন আট বছরের ছেলে। আমার বাবা-মা ছিলেন ঈশ্বর নাপিতদের বাড়ীর ভাড়াটে । মনে হয় ? কুক্ষম হেসে বললে—মনে হয় বাবু। তুমি সেই পাগলা ঠাকুর ? কত বড় হয়ে গিয়েছ । বাবা মা আছেন ? —কেউ নেই ! —ছেলেপুলে কটি ? —চার পাঁচটি । —বসো বলো, বাবা । আরও অনেক কথাবার্তার পরে কুস্কম আমাদের বসিয়ে বাইরে কোথায় চলে গেল। খানিক পরে চট করে কোথা থেকে একটা শালপাতার ঠোঙায় খাবার এনে দুখানা থালাতে আমাদের দুজনকে খেতে দিলে। আমারও মনে ছিল না। খেতে গিয়ে মনে হল। বড় বড় হিণ্ডের কচুরি চারখানা। তখুনি মনে পড়ে গেল কুস্কমের সেই বাবুর কথা, সেই হিঙের কচুরির কথা। মনে এল ত্রিশ বছর পরে আবার সেই লোভী ছেলেটির ছবি ও তার কচুরিপ্রতি । কুস্কমের নিশ্চয় মনে ছিল। কিংবা ছিল না—তা জানি নে। কচুরি খেতে খেতে আমার মন স্বদীর্ঘ ত্রিশ বৎসরের ধুসর ব্যবধানের ওপারে আমাকে নিয়ে গিয়ে ফেলেছে একেবারে মন্দরাম সেনের গলির সেই অধুনালুপ্ত গুড়ের আড়তট ও রাস্তার কলটার সামনে, যেখানে কুস্কম আজও পচিশ বছরের যুবতী, যেখানে তার বাবু আজও সন্ধ্যেবেলায় ঠোঙা হাতে হিঙের কচুরি নিয়ে আসে নিয়মমত। झझे नेिन ১২৮৫ সাল । সতেরোই শ্রাবণ । 譬 ভাবনহাটি গ্রামের রামচন্দ্র রায়ের ছেলে পরমেশচন্দ্র রায় আজ বিয়ে করে বেী নিয়ে আসবে বলে রামচন্দ্র রায়ের ভাঙা চণ্ডীমণ্ডপে কয়েকজন লোক জমেছে। রামচন্দ্র রায় ছেলের বিয়েতে যেতে পারেন নি, আনন্দনাড়ু ভাজার দিন তেল জলে উঠে হঠাৎ রান্নাঘরের চালে আগুন ধরে যায়। আগুন নেবাতে গিয়ে রামচন্দ্র রায়ের দুই হাত পুড়েম্বা হয়েছে করতালুতে। সেজন্তে তিনি ছেলের বিয়েতে যান নি, বরকর্তা করে পাঠিয়েছিলেন ভায়রাভাই তেবরের গোপেশ্বর চক্রবর্তীকে ।