পাতা:বিভূতি রচনাবলী (একাদশ খণ্ড).djvu/২৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

tछोडिद्भिछs ३७४ —যে করে হোক, একটা-দুটো দিন চালিয়ে নিতে হবে । পাচ মাইল দূরবর্তী মহকুমা টাউন থেকে নিমতি সন্ধান্ত ব্যক্তিদের আনবার জন্তে দুখান৷ নিজেদের মোটর এরা কলকাতা থেকে এনেছে। রাণাঘাট এখান থেকে অনেক দূর, ভাল রাস্তাও নেই, সেখানে গাড়ী পাঠানোর কথায় পরিতোষ বললে, সেখানে গাড়ী পাঠাতে কে বললে ? সে তো ষোল মাইলের কম নয়— বিজয় বললে—সতেরো মাইল সার। —যত সব স্ট পিন্ড —তারপর একখানা টায়ার গেলে কি শুিং ভাঙলে এ বাজারে যোগাড় করাই কঠিন—যা রাস্তা! ভাল গাড়ীখানাই ওই রাস্তায় পাঠালে। এই সময়ে জিপ গাড়ীতে মহকুমা হাকিম ও দুজন গভর্ণমেণ্টের কৰ্ম্মচারী এসে নামলেন। মেজর রায় বেদী থেকে বললেন, আস্বন, আমুন—ওরে গাড়ী থেকে কি কি আছে নামিয়ে নে—আসুন দয়া করে— - মহকুমা হাকিম মিঃ সেন পূৰ্ব্বে ছোকরা বয়সে নৃপেন রায়ের অধীনে সার্কেল অফিসারের কাজ করেছেন মেদিনীপুরে, কাথি মহকুমায়। জিপ থেকে নেমে মি: সেন বললেন—আপনার বাবা ? ও ! নমস্কার সার—আচ্ছা আচ্ছ, আপনি কাজ আরম্ভ করুন, আমাদের জন্যে ভাববেন না। উই আর কোয়াইট অ্যাট হোম ! —কে আছিল, ওরে ? সিগারেটের টিন বার করে দে ওঁদের–চায়ের ব্যবস্থা আগে কর । এই সময় গোয়ালার দুই আর ক্ষীরের বাক নিয়ে উঠোনের এক স্থানে এসে দাড়াল। ও পাশে ছোট চালাঘরে মিহিদানা ও দরবেশ ভিয়ান হচ্ছে, লুচির ময়দা মাখা হচ্ছে—সে ঘর থেকে একজন উঠে এসে গোয়ালাদের দই আর ক্ষীর দেখে নামিয়ে হিসেব করে নিতে লাগল। জার্মান সিলভারের ট্রেতে চা দেওয়া হচ্ছে শামিয়ানায় চেয়ারে বসে যেসব ভদ্রলোক শ্রাদ্ধ দেখছেন, তাদের এবং বিশেষভাবে মূহকুমার হাকিম ও তার দুজন সঙ্গীকে । গ্রামের সাধারণ লোকও শামিয়ানার একপাশে ভিড় করে দাড়িয়ে দেখছে। শ্রান্ধের মন্ত্রপাঠ আরম্ভ হয়েছে। অপূৰ্ব্ব দৃপ্ত। ತಕ সোনার চাদ নাতি একসঙ্গে ভূজ্যি উৎসর্গের মন্ত্র পাঠ করছে । se একটু দূরে সেই কাঠাল গাছটা। যখন এটা অল্প কয়েক বছরের চারা তখন এরই তলায় দুধে আলতায় গোলা পাথরের খোরায় পরমেশ রায়ের নববধূ এসে দাড়িয়েছিল বরণের সময়, পাশেই আলপনা-দেওয়া পি’ড়িতে দাড়িয়েছিলেন নবযুবক পরমেশ রায়। আটঘটি বছর আগের এ খবর সভাস্থ কোন লোক জানত না, জানবার কথাও না ।