জ্যোতিরিঙ্গণ S ηό
শুক্রবার দিন সন্ধ্যের গাড়ীতে বাবা বাড়ী এলেন। ঠাকুরদাদা অভিমানে কথাই বলেন না । বাবা বুঝতে পারলেন । মাকে বললেন –বাবার দেখছি রাগ হয়েছে—যাই দেখি ব্যাপার ।
ঠাকুরদাদা তামাক খাচ্ছেন, বাবা গিয়ে বললেন-বাবা !
পায়ের ধুলো নিয়ে প্রণাম করলেন।
ঠাকুরদাদার মুখে কথা নেই।
—বাবা, কেমন আছেন ?
ঠাকুরদাদা নিরুত্তর ।
—বাবা, রাগ করছেন নাকি ? তা আমি আবার রাণাঘাট যাচ্ছি কাল সকাল বেলা ।
—রাগ হয় না ?
এবার ঠাকুরদাদা আর কথা না বলে থাকতে পারলেন না । কেন না, ওই যে বাবা বললেন, কাল সকালেই রাণাঘাট যাবেন, ওতেই ঠাকুরদাদার রাগ জল হয়ে গিয়েছে
একেবারে ।
বাবা হেসে বললেন—আপনি রাগ করতে পারেন, তবে আমি পরের কাজ করি, কাজ সরতে গেলে দু-এক দিন দেরি হয়েই যায় ।
—আমার জন্তি কি আনলি ?
—ভাল জিনিস এনেছি। আপনার ভাল লাগবে । কেঃনগরের সরভাজা ।
—তা দিতে বল বেীমাকে ।
সে সময় মা কালীতলায় প্রদীপ দিতে গিয়েছিলেন । আসতে দেরি হল, ঠাকুরদাদা অর্ধার ভাবে বার বার আমাকে বলতে লাগলেন—এল তোর মা, ও মণ্ডু ?
বাবা চলে গিয়েছেন নটবর বাড়ুজ্যের চণ্ডীমণ্ডপে পাশা খেলতে । ঠাকুরদাদা আমাদেরই বার বার জিগ্যেস করতে লাগলেন—যা না তোর মার কাছে ।
ঠাকুরদাদার উদ্বেগের ন্যায্য কাম যে ছিল না তা নয় । মা ঠাকুরদাদাকে বিশেষ পছন্দ করতেন না গোড়া থেকেই। র্তার জন্যে Nাবার এলে, বাবা দাড়িয়ে থেকে না দিলে ঠাকুরদাদার ভাগ্যে অনেক সময় শূন্যের অঙ্ক লেখা হত, এ আমি জানি। মা বলতেন—ছেলে-পিলেরা খাবে আগে, তা নয়, বাহাত্তরে বুড়ো খোকনকে আগে খাওয়াও । অত আমার শ্বশুরভক্তি নেই। উনি আমার কি করেছেন কোন কালে ? কখনও একখানা কাপড় দিয়েছেন পূজোর সময়—ওঁর হাতে যখন পয়সা ছিল, যখন পাইকপাড়ায় কাজ করতেন ? আমি আজ আসি নি এ সংসারে, আমারও হয়ে গেল ত্রিশ বছর । আজই না হয় ভীমরতি হয়েছে, কোন কালে উনি ভাল ছিলেন ? ওই ছেলে আর ছেলে! আর সব যেন বানের জলে ভেসে এসেছিলাম !
একটা নাডু কিংবা এতটুকু আমসত্ব-ছেড়া পড়ত ঠাকুরদাদার ভাগ্যে।
বাবা নিজের হাতে খাবার নিয়ে ঠাকুরদাদাকে দিতেন বোধ হয় এই জন্যেই । আগে
مواد سم-د لا .fa. g
পাতা:বিভূতি রচনাবলী (একাদশ খণ্ড).djvu/২৯৩
পরিভ্রমণে ঝাঁপ দিন
অনুসন্ধানে ঝাঁপ দিন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
