কুশল পাহাড়ী φέή
পঞ্চাশ বছর আগেকার হারানো সব দিনগুলি ।
তিনপাহাড়ের বিহারী স্টেশনমাস্টার একদিন কুলিদের কাছে খবর পেলেন, কে এক বুড়ে বাঙালীবাবু জরে বেছশ অবস্থায় নিমগাছটার তলায় শুয়ে আছে । কোনো পরিচয় পাওয়া গেল না তখন রোগীর কাছে । আরও দুদিন পরে স্টেশনের মুসাফিরখানায় লোকটি মারা গেল জরের তাড়নায় এবং হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ।
তখন মৃত ব্যক্তির শিয়রের তলা থেকে রেলের বোতামযুক্ত কোট বের হওয়াতে চার ধারে জানাজানি হল এবং ক্রু-ম্যান পঞ্চানন চক্রবর্তী এসে পড়ে সব পরিচয় দিলে কিন্তু সে দেশের ঠিকানা কিছুই জানে না, দিতেও পারলে না কোনো খবর। ব্যাণ্ডেল স্টেশনে দেখা হয়েছিল এই পর্য্যস্ত, কোথায় থাকতেন সে তখন বলতে পারলে না।
আরও কয়েকদিন পরে মুক্তকেশী ও মেয়ের টেলিগ্রাম পেয়ে এসে পড়লেন যেদিন তিনপাহাড়ে, তার কয়েকদিন আগে কেশব গাঙ্গুলীর অস্থি ক’খানা সক্রিগলি ঘাটের গঙ্গায় স্থান পেয়ে গিয়েছে রেলের বাবুদের সহযোগিতায় । মুক্তকেশী শুধু ফিরে পেলেন কুরুভাইজার ফ্রেরিসের সেই ঘড়িট ।
বড় দিদিমা
অনেকদিন পরে মামার বাড়ী গিয়েচি । বোধ হয় বিশ বছর পরে। জঙ্গলে ভৰ্ত্তি হয়ে গিয়েচে সারাটা গ্রাম । বড় বড় বাড়ী পোড়ো হয়ে, ভাঙা হয়ে পড়ে আছে, বট অশ্বথর চারা উঠেচে ছাদের আর দেওয়ালের ফাটলে । ঘুঘু পাখীর বাসা হয়েচে চিলেকোঠায়–অনেক বাড়ীতে রাত্রে বাঘ ডাকে, বুনো শূণ্ডর লুকিয়ে থাকে উঠোনের জঙ্গলে।
লোকজন যারা গায়ে ছিল, অনেককাল আগে বিদেশে চলে গিয়েচে । সেখানেই চাকুরি বা ব্যবসার সূত্রে ঘর বাড়ী বেঁধে বাস করে, ম্যালেরিয়ার দেশে আসতে চায় না । তাদের বাবা জ্যাঠারা হয়তো আসতে নতুন চাকুরি করবার সময় বছর কয়েক এসে দুর্গাপূজা, খামাপূজা করেছিল। এখন তারা বুড়ো হয়ে গিয়েচে, তাদের ছেলেরা জন্মেচে বিদেশে, দেশ তারা জানে না, চেনে ন!—কেউ বাল্যকালে এক-আধবার এসেছিল, কেউ তাও আসে নি । এই ম্যালেরিয়ার দেশে দূর বিদেশ থেকে পয়সা খরচ করে কিসের টানে তারা আসবে ?
স্বতরাং বড় বড় বাড়ী ভেঙে পড়ে আছে, দেউড়ি ভেঙে গিয়েচে, হয়তো দরজায় তালা দেওয়া ঠিকই আছে। সাপের ভয়ে দিনমানে কেউ সেদিকে যায় না ।
অনাদি-মামার বাড়ীটা বাইরে থেকে দেখলাম। বালে এই অনাদি-মামার বাড়ী প্রথম গ্রামোফোন শুনি মনে আছে। অনাদি-মামার বাবা হরি দাদামশায় ভারি শোঁখীন লোক
दि. ब्र. >>-२२
পাতা:বিভূতি রচনাবলী (একাদশ খণ্ড).djvu/৩৫৭
পরিভ্রমণে ঝাঁপ দিন
অনুসন্ধানে ঝাঁপ দিন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
