কুশল পাহাড়ী Øፃ›
জুলাল বল্লে—বল দিকি বিমল, একে মাছের 'কি' বলবি—এই আক্রা চড়া মাছের বাজারের দিনে ?
বিমল বললে—কি ? প্রাচুর্য্য ?
—ন |
—তবে 'প্রাদুর্ভাব’ ?
—ন, ‘আবির্ভাব’ : দেবতার আবির্ভাবের মতই আন এক্সপেক্টেড কিনা ৷
মানতালা ও
সে বল্লে, খুব জানি, মানতালাও খুব বড় তবে ধারে বড় জঙ্গল । ভালুকের ভয় আছে, পাহাড় আছে, বাঘও আছে ।
বৈশাখ মাসের মাঝামাঝি । অসহ গরম । বেলা চারটে বেজে গিয়েছে । ভাবলুম, এই অসহ উত্তাপে বিহারের এমন মুন্দর হ্রদে স্নান করা সৌভাগ্যের কথা ।
সে প্রস্তাবে সবাই রাজী হল । আমার মন প্রথমত সায় দেয় নি । কি জানি কেমন তালাও ? মিথ্যেই দেরি হয়ে যাবে গয়া পৌছতে ।
কিন্তু যখন মোটরটি হ্রদের সামনে পৌছলো—হঠাৎ এসে পৌছলো একট। বনের বঁাক ঘুরেই —তখন হ্রদের সেই অপূৰ্ব্ব রূপ আমাকে এত বিস্মিত করে দিলে যে আমি করণ সিংকে বল্লাম— কি জন্যে তুমি এর কথা আগে বল নি ?
—কেন বাবুজি ?
—এমন চমৎকার একটা জায়গা—
—বড় জঙ্গল, ভালুক বাঘের ভয় আছে।
তা হোক, এমন অপূৰ্ব্ব একটি জলাশয় আছে, যার ধারেই পশ্চিম তীরে সমান্তরাল নীচু শৈলমালা ও শালের জঙ্গল, উপর তীরে মাইলটাক দূরে পুনরায় শৈলমালা এবং ঘনসবুজ শালবন— কেবল পূৰ্ব্ব ও দক্ষিণে পাহাড় নেই, বনও নেই—দিব্যি সবুজ তৃণভূমি, একদম ফাক ও সমতল, ফুটবল খেলার ভাল মাঠ হয় । এই মাঠের মধ্যে এদিকে ওদিকে দু-চারটি হরীতকী, শিব বৃক্ষ, শাল ও আসান গাছ । দক্ষিণ কোণে চমৎকার অ্যাসবেস্টসের ছাদ বাধা ছোট বাংলো । বাংলোর ঠিক সামনাসামনি একটি পাথরের মোটা মোটা সোপানযুক্ত কারুকার্য্যবিহীন বাধা ঘাট—তারই ঠিক বগলে বড় বড় তক্তা জুড়ে হাত দশ-বারো জলের মধ্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছে—অনেকটা সুইমিং পুলের জাম্পিং বোর্ডের মত । সেই তক্তাগুলোর প্রান্ত মোটা মোটা শালের খুঁটিতে আবদ্ধ। যেখানে তক্তাগুলো শেষ হয়েছে সেখানে একখানা ধুসর-ব্রংকরা জাহাজের লাইফবোটের মত গড়নের বোট বাধা ।
মোটরে হাজারিবাগ থেকে গয়া যেতে যেতে এই অদ্ভুত হ্রদটি পড়লো। ‘মানতালাও
\
পাতা:বিভূতি রচনাবলী (একাদশ খণ্ড).djvu/৩৯১
পরিভ্রমণে ঝাঁপ দিন
অনুসন্ধানে ঝাঁপ দিন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
