পাতা:বিভূতি রচনাবলী (একাদশ খণ্ড).djvu/৩৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭২ বিভূতি-রচনাবলী অবিভি স্থানীয় অধিবাসীদের দেওয়া নামটা । নামে কিছু আসে যায় না, এই অতি স্বন্দর হ্রদ যে এমন এক বনাঞ্চলে আছে, গয়াগামী পিচঢালা রাস্তা থেকে তার কিছু বুঝবার উপায় নেই, যদি না হাজুদ রাস্তার পাশের একটা সাইনবোর্ডের দিকে আমাদের দৃষ্টি আকৃষ্ট করতো। সাইনবোর্ডের গোড়ার দিকে ও দক্ষিণ পাশে একই সরলরেখায় একটি তীরের ফলা—হ্রদের অবস্থানবিন্দু নির্দেশ করচে । এই রকম হল বিজ্ঞাপনট : মানতালাও ইদ, আসুন ! এখান হইতে দু ফলং দূরে বনের মধ্যে স্বন্দর একটি হ্রদ আছে। স্নান ও ভ্রমণের জন্য বনবিভাগ হইতে একটি প্রস্তর-বাধানে ঘাট ও নৌকাভ্রমণের জন্য একটি নৌকার ব্যবস্থা আছে। জ্যোৎস্নারাত্রে এই হ্রদ বিশেষরূপে উপভোগ্য । ভ্রমণেচ্ছুদের জন্যে হ্রদের ধরে যে বাংলো আছে চৌকিদারের নিকট উহার চাবি মিলিবে। দর্শনী—এক টাকা নৌকাভ্রমণ ফি—॥০ আনা ঘণ্টা পিছু বাংলো ভাড়া, দৈনিক—৫ টাকা এম্ র ও ডি এফ. ও., গয়৷ ডিভিশন BBB BB BB BBB ggKKg DBBS BBB B BBB B BBBS BBBB B এদিকে এসেছি । দুজনেই আমরা নবাগত পশ্চিম সফরে । ড্রাইভার করণ সিং এ অঞ্চলের লোক, বিহার ট্রানসপোর্টের বাসগুলিতে অনেকদিন কাজ করচে, তাকে বল্লাম—তুমি জানো করণ সিং, কি তালাও আছে এখানে ? খুব চওড়া হ্রদটী—আঁকাবাকা হ্রদটা বনের ও-মোড়ে অদৃপ্ত হয়ে গিয়েছে—নিৰ্ম্মল নীল জল, এবং হয়তো বল্পে বিশ্বাস করবেন না—তীরের কাছে কি চমৎকার সবুজ জলা ঘাস ও পান-কলস শেওলার বন—ঘাসে ফুল ফুটেচে নীল রঙের, পান-কলসের ফুল ফুটেচে সাদা সাদা বাটার কপ’ ফুলের মত । আর, কি অজস্ৰ ফুটে আলো করচে বনগ্রাস্ত, সেই পড়ন্ত বেলায় কি ঘন স্ববাস সঙ্কফোটা কুড়চিফুলের—সাদ বনভূমি মাতিয়ে ফেলেছে দুই স্ববাসে, যেদিকেই চাও, সেদিকেই থোকা থোকা কুড়চিফুল দুলচে বাতালে। কি শোভা এই অপরিচিত অজ্ঞাত জলাশয় ও তার বন্য পরিবেশের ! কি অদ্ভুত নির্জনতা এর চারিপাশের ! কোথাও একটি মানুষের চুলের টিকি দেখা যায় না। কেবল শোনো বিহঙ্গকাকলী, বন্ত হনুমানের উপ আপ, শব্দ দূরে বনের মধ্যে, আর জলাশয়ের বড় বড় ঢেউ ছপ, ছপ, করে সেই