পাতা:বিভূতি রচনাবলী (একাদশ খণ্ড).djvu/৪৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ठूषण •ोहोरौँ 移敬邻 তা আজ তোকে দেখে— অশ্বিনী আমার পায়ের ধুলো নিয়ে মাথায় দিলে। বঙ্গে—চলুন কিছু খেতে হবে । —তা হবে না । আমি তোমাকে আজ খাওয়াব । —ত কি হয়! আপনাদের খেয়ে তো আমরা মানুষ । আজ আমি খাওয়াব আপনাকে । আমি যেদিন আপনাদের বাড়ী যাবে, সেদিন খাওয়াবেন আপনি । অশ্বিনীকে জোর করে খাওয়ালুম একটা খাবারের দোকানে সিঙ্গরা আর সন্দেশ । ও ছাড়লে না আমাকে খাওয়াতে । বাল্যকালের কথা, আমাদের গ্রামের কথা ও অনেক বলতে লাগলো । ওর মা বেঁচে নেই। ছোট ভাইকে কোথাকার দোকানে কাজে ভৰ্ত্তি করে দিয়েচে । কালনার কাছে গোপীনাথপুরে অশ্বিনী বিবাহ করেচে। শ্বশুরের কাপড়ের দোকান কালনা বাজারে । একমাত্র মেয়ে, শ্বশুর চোখ বুজলে ওর স্ত্রীই সম্পত্তি পাবে। বল্লাম—বাজনা শিখলে কোথায় ? ও হেসে বল্লে—ঝোক ছিল ওদিকে । ওস্তাদের দয়ায় আর আপনাদের আশীৰ্ব্বাদে । বাবা ছিলেন গাইয়ে-বাজিয়ে, তার সেই গুণটা অর্শেচে আমাতে । ওস্তাদ পেয়েছিলাম যাত্রার দলের বড় বাজিয়ে দুর্লভরাম সাধুর্থাকে। তিনি আমাকে হাত ধরে শেখান। যজ্ঞেশ্বর নন্দীর কাছে তবলা শিক্ষা করি । আজ্ঞে, তা আপনার বাপ-মায়ের আশীৰ্ব্বাদে এমন সব ওস্তাদ পেয়েছিলাম, যাদের এক ডাকে লোকে চেনে। পয়সাও রোজগার করি । কেন মিথ্যে বলবো, যেদিন যে আসরে ঠিকে বাজাবো, তিন টাকা রাত ; আর খোরাকী—দুধ আর ইয়ে—ওই যা বললাম—মোঁতাত। তা, বায়না লেগেই আছে দাদাবাৰু। মাসে একশ টাকা কেউ মারে না, রাজার হালে খাওয়া-দাওয়া—আর সে আর আপনাদের সামনে কি বলবো—খাতিরও কিছু করে লোকে । এই ঘটনার পরে অনেক দিন হয়ে গিয়েচে। প্রায় পনের বোলো বছর হবে। অশ্বিনীর সঙ্গে আমার আর কখনো দেখা হয়নি । গত বৈশাখ মাসে একদিন বাইরের ঘরে বসে আছি, একটি গরিব স্ত্রীলোক একটি ছোট মেয়ের হাত ধরে আমাদের বাড়ীর নীচে ভিক্ষে করতে ঢুকলো। আমার অবস্থাও যথেষ্ট খারাপ হয়ে গিয়েচে, যৌবনের সে উদাম স্রোত আমাকে এই শুষ্ক বালুচরে বসিয়ে কোন দিক দিয়ে যে নিঃশবে অস্তহিত হয়েচে তার সন্ধানও পাই নি । বেশ একটু পরে স্ত্রীলোকটি আধখানা কুমড়ো আর কিছু চাল আঁচলে নিয়ে বাড়া থেকে বেরিয়ে চলে গেল । আবার বড় মেয়েকে জিগ্যেস করলাম ডেকে—ও কে ? ওকে তো কখনো দেখিনি ? বড় মেয়ে যা বলে তার মোট মর্শ এই, ওরা ওপাড়ার গেীরদাস বৈরাগীর বাড়ী এলেচে এই গ্রামেই আগে ওর শ্বশুরের বাড়ী ছিল । ওর স্বামীর নাম ছিল অশ্বিনী। যাজালে