পাতা:বিভূতি রচনাবলী (একাদশ খণ্ড).djvu/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अथ छण 8ፃ -छ्रॉनि ! —আপনি আসবেন ? —তা বলতে পারি নে—আজ এত রাত পৰ্য্যন্ত জেগে । কাল বাড়ীর ডাক্তারখানায় রুগী দেখতে হবে— —সন্দের পর কাল আরম্ভ হবে তো ? আপনি আসবেন, কেমন তো ? তার পরেই शांशी छूजिटग्र वजहज-टैंक, टैिंक, टैिक । शांझे আমি কিছু বলবার আগেই পান্না হরি ময়রার দোকানের ছেচতলার আড়ালে অদৃপ্ত হয়ে গেল । ফিরে চলে এলাম ডাক্তারখানাতে। মাথার মধ্যে কেমন করচে। পান্নার সঙ্গে জীবনের যেন অনেকখানি চলে গেল। জীবনকে এতদিনে কিছুই জানি নি, দেখি নি। শুধু ঘুরে মরেছি পাড়াগায়ে ডাক্তারি করে আর সনাতনদার মত গেয়ে লোকের প্রশংসা কুড়িয়ে। আজ যেন মনে হল, এ জীবন একেবারে ফাক, এতে আসল জিনিস কিছুই নেই। নিজেকে ঠকিয়েছি এতদিন । মাঝি বললে—বাবু, বাড়ী যাবেন তো ? নেীকে ছাড়ি ? —একটা শক্ত কেস আছে, যাবো কি না তাই ভাবচি। —চলুন বাবু, কাল খাওয়া-দাওয়া করে চলে আসবেন। কাঠের পুতুলের মত গিয়ে নৌকোতে উঠলাম। নৌকো ছাড়লে, আমি শুয়ে রইলাম চোখ বুজে কিন্তু কেবলই পান্নার মুখ মনে পড়ে,—তার সেই অদ্ভুত হাসি, সকুণ্ঠ চাউনি। লাবণ্যময়ী কথাটা বইয়ে পড়ে এসেছি এতদিন, ওকে দেখে এতদিন পরে বুঝলাম নারীর লাবণ্য কাকে বলে। কি যেন একটা ফুেলে যাচ্ছি মঙ্গলগঞ্জের বারোয়ারি-তলায়, যা ফেলে আমি কোথাও গিয়ে শান্তি পাবো না । - মনে মনে একটা অদ্ভূত কল্পনা জাগলো। নিজেই অবাক হয়ে গেলাম এ ধরনের কল্পনার সম্ভাব্যতায়—আমার এ ধরনের কল্পনার সম্ভাব্যতায় । ডাক্তারি ছেড়ে দিয়েছি, সংসার ছেড়ে দিয়েছি, পাল্লা যদি আমাকে চায় তবে ওকে নিয়ে চলে গিয়েছি স্বদুর পশ্চিমে কোনো অজ্ঞাত ছোট শহরে। পান্নার সীমস্তে সিন্দুর, মুখে সেই হাসি.আমার সঙ্গে এক নির্জন ছাদে"ত্ত্বজনে মুখোমুখি“কেউ কোথাও নেই••• কেউ আমাকে ডাক্তারবাৰু বলে খাতির করবার নেই। এখানে আমার বংশগৌরব আমার সব স্বাধীনতা হরণ করেচে।••• কিসের বংশগৌরব, কিসের যশমান ? ওকে যদি পাই ? হয়তো তা আকাশ-কুহুম। ও সব আলেয়ার আলো, হাতের মুঠোয় ধরা দেয় না কোনো দিন। পান্না আমার হবে, এ কথা ভাবতেই আমার সারা দেহমনে যেন বিছাতের