পাতা:বিভূতি রচনাবলী (একাদশ খণ্ড).djvu/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

속 বিভূতি-রচনাবলী বুড়ীর সে কথা যদি তখন আমি শুনতাম ! যাক সে কথা । পান্নাকে আর আমি পীড়াপীড়ি করি নি নাইতে যাবার জন্যে । ওকে কিছু না বলে আমি নিজেই নাইতে গেলাম একা। ফিরে আসতে পান্না বললে—এ কি রকম হল ? —কেন ? —এক নাইতে গেলে ? —আমি গেয়ে লোক। কলকাতা দেখতে এসেচি, দেখে ফিরে যাই। দরকার কি আমার রাজকন্তের খোজে । —আমি কি রাজকন্যে নাকি ? —তারও বাড়া । —কেন ? —সে সব কথা দরকার নেই। আমি আজই বাড়ী চলে যাবো । —ইশ ! মাইরি ? পায়ে মাথা কুটবে না ? কি হয়েচে বলো—সত্যি বলবে! আমি বুড়ীর কথা কিছু বলা উচিত বিবেচনা করলাম না। হয়তো তুমুল ঝগড়া আর অশান্তি হবে এ নিয়ে । না, এ বাড়ীতে আমার থাকা সম্ভব হবে না আর । একদিনও না। নিজের মন তৈরি করে ফেললাম, কিন্তু পান্নাকে সে কথা কিছু বলি নি। বিকেলের দিকে বেড়াতে যাবার নাম করে বেরিয়ে সোজা শেয়ালদ’তে গিয়ে টিকিট কাটবো । খাওয়ার সময় পাল্লা নিজের হাতে পরিবেশন করে খাওয়ালে। আগের রাত্রে আমি নিজেই দোকান থেকে লুচি ও মিষ্টি কিনে এনে খেয়েছিলাম। আজ ও বললে—আমি নিজে মাংস রান্না করচি তোমার জন্যে, বলে খাবে ? এমন স্বরে অনুরোধ করলে, ওর কথা এড়াতে পারলাম না । বড় এক বাটি মাংস ও নিজের হাতে আমার পাতের কাছে বসিয়ে দিলে, সামনে বলে যত্ব করে খাওয়াতে লাগলো বাড়ীর মেয়েদের মত । কিন্তু একটা কাজ ও হঠাৎ করে বসলে, আমার মাংসের বাটি থেকে একটু মাংস তুলে নিয়ে মুখে দিয়ে তখন বলুচে– থাবো একটু তোমার এ থেকে ? তারপর হেসে বললে—দেখচি কেমন হয়েচে । আমার সমস্ত শরীর যেন সঙ্কুচিত হয়ে উঠলো, এত কালের সংস্কার যাবে কোথায় ? আমি বললাম—ও এটো হাত যেন দিও না বাটিতে ? ছিঃ– পান্না দুষ্টুমির হাসি হেসে হাত খানিকটা বাটির দিকে বাড়িয়ে বললে—দিলাম হাত, ঠিক ८क्ट्व-फ़िछिछ किङ् পরে নিজেই হাত গুটিয়ে নিয়ে বললে—না, না, তাই কখনো করি ? হয়তো তোমার খাওয়া হবে না-খাও, তুমি খাও— আমি জানি কোনো মাজ্জিতরুচি ভদ্রমহিলা অতিথিকে খাওয়াতে বসে তার সঙ্গে এমন