পাতা:বিভূতি রচনাবলী (একাদশ খণ্ড).djvu/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१२ বিভূতি-রচনাবলী একজন লোককে পাঠিয়ে দিলাম সনাতনদা’র বাড়ীতে খবর দিতে যে আমি ফিরে এসেছি । স্বরবালার মুখ দেখে বুঝলাম ওর মনে কোন সন্দেহ জাগে নি। ওর মন তো আমি জানি, সরলা শাস্ত স্বভাবের মেয়ে। অতশতও কিছু বোঝে না। ও আমাকে খাওয়াতে মাখাতেই ব্যস্ত হয়ে পড়লো। তবুও আমার মুখের দিকে চেয়ে চেয়ে ও যেন কি দেখলে । আমি বললাম—কি দেখচো ? —তোমার শরীর ভালো আছে তো ? —কেন ? —তোমার মুখ যেন শুকিয়ে গিয়েছে—কেমন যেন দেখাচ্চে— হেসে উড়িয়ে দেবার ভঙ্গিতে বললাম—ও, এই ! স্বরবালা উদ্বেগের স্বরে বললে—ন সত্যি। তোমার মুখে যেন— —ও কিছু না । একটু ঘুমুই— —একটু ওষুধ খাও না কিছু ? তুমি তো বোঝ– –কিছু না। মশারিট ফেলে দিয়ে যাও, ঘুমুই একটু— সকালে সনাতনদী এসে হাজির হল। বললে—একি হে? তুমি হঠাৎ কোথাও কিছু ময়, কোথায় চলে গেলে ? বৌমা কেঁদে কেটে অস্থির। दललांश-कलकांडांध्र शिंद्रग्रक्किजांभ ! • -८कम, एर्लां९ ? —বিশেষ কারণ ছিল । —সে আমি বুঝতে পেরেছি। নইলে তোমার মত লোক হঠাৎ অমনি না বলা-কওয়া কলকাতা চলে স্বাবে ? তা কি কারণটা ছিল— —সে একটা অন্য ব্যাপার। সনাতনদা আর বেশি পীড়াপীড়ি করলে না। আমার মুশকিল আমি মিথ্যে কথা বড় একটা বলি নে, বলতে মুখে বাধে—বিশেয কাজে হয়তো বলতে হয় কিন্তু পারতপক্ষে না বলারই চেষ্টা করি। অন্য কথা পড়িলাম তাড়াতাড়ি। সনাতনদ দুতিনবার চেষ্টা করলে কলকাভা যাবার কারণটা জানবার। আমি প্রতিবারই কথা চাপা দিলাম। সনাতন বললে —মঙ্গলগঞ্জে বাবে নাকি ? asষাবো বৈকি। রুগী রয়েচে । —আমিও চলে যাই— --তুমি ধাৰে ? —চলো বেড়িয়ে আসি— সৰ্ব্বনাশ। বলে কি সনাতনঙ্গা ? মঙ্গলগঞ্জে গেলেই ও সব জানতে পারবে হয়তে।