পাতা:বিভূতি রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড).djvu/১৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দৃষ্টি-প্রদীপ }శ్రీ জয় ক’রে আমি আমার বিরাট চেতনার রথচক্ৰ চালিয়ে দিই শতাব্দীর পথে, জন্মকে অতিক্রম করে মৃত্যুর পানে, মৃত্যুকে অতিক্রম করে আবার আনন-ভরা নবজন্মের কোন অজানা রহস্তের আশায় । | )( || দাদার মৃত্যুর মাস তিনেক পরে বাতাসার কারখানার কুণ্ডুমশায় হঠাৎ মারা গেলেন। এতে আমাকে বিপদে পড়তে হ’ল। কুণ্ডুমশায়ের প্রথম পক্ষের ছেলেরা এসে কারখানা ও বাড়িঘর দখল করলে। কুণ্ডুমশায়ের তৃতীয় পক্ষের স্ত্রীকে নিত্যস্ত ভালমানুষ পেয়ে মিষ্টি কথার ভুলিয়ে তার হাতের হাজার দুই নগদ টাকা বার করে নিলে। টাকাগুলো হাতে না আসা পর্য্যস্ত ছেলেরা বৌয়েরা সংশাশুড়ীকে খুব সেবাযত্ন করেছিল, টাকা হস্তগত হওয়ার পরে ক্রমে ক্রমে তাদের মূৰ্ত্তি গেল বদলে। যা দুর্দশা তার শুরু করলে ওরা ! বাড়ির চাকরাণীর মত খাটাতে লাগল, গালমন্দ দেয়, তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে। আমি একদিন গোপনে বললাম-মালীম, পঞ্চুকে ডাকঘরের পাস-বই দিও না বা কোন সই চাইলেও দিও না। তুমি অত বোকা কেন তাই ভাবি ! আগের টাকাগুলো ওদের হাতে দিয়ে বসলেই বা কি বুঝে ? ডাকঘরের পাস-বইয়ের জন্তে পঞ্চু অনেক পীড়াপীড়ি করেছিল । শেষ পর্য্যন্ত হয়ত মাসীমা দিয়েই দিত—আমি সেখানা নিজের কাছে এনে রাখলাম গোপনে । কত টাকা ডাকঘরে আছে না জানতে পেরে পঞ্চু আরও ক্ষেপে উঠল। বেচারীর দুর্দশার একশেষ করে তুললে । কুণ্ডুমশায়ের স্ত্রীর বড় সাধ ছিল সৎছেলেরা তাকে মা বলে ডাকে, সে সাধ তারা ভাল করেই মেটালে ! একদিন আমার চোখের সামনে সৎমাকে ঝগড়া ক’রে খিড়কীদোর দিয়ে বাড়ির বার করে দিলে। আমি মালীমাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে এলাম, চিঠি লিখে তার এক দূরসম্পর্কের ভাইকে আনালাম—সে এসে মালীমাকে নিয়ে গেল । আমার অসাক্ষাতে মালীম। আবার বৌদিদির হাতে একখানা একশো টাকার নোট গুজে দিয়ে বলে গেল যাবার সময়— জিতু মাসীমা বলেছিল, আমি তিলির মেয়ে, কিন্তু বেঁচে থাক সে, ছেলের কাজ করেছে। অামার জন্তেই তার কারখানার চাকরিটা গেল, যত দিন অন্য কিছু না হয়, এতে চালিয়ে নিও, বৌমা । আমি দিচ্ছি এতে কিছু মনে ক’রো না, আমার তিন কুলে কেউ নেই, নিতুর বৌয়ের হাতে দিয়ে মুখ যদি পাই, তা থেকে আমায় নিরাশ করে না । পঞ্চু কারখানা থেকে আমায় ছাড়িয়ে দিলেও আমি আর একটা দোকানে চাকরি পেলাম সেই মাসেই। সৎমায়ের সঙ্গে ওরকম ব্যবহার করার দরুন কালীগঞ্জে কেউই ওদের ওপর সন্তুষ্ট ছিল না, মাসীমার অমায়িক ব্যবহারে সবাই তাকে ভালবাসত। তবে পঞ্চুদের টাকার জোর ছিল, সব মানিয়ে গেল । ইতিমধ্যে একদিন সীতার শ্বশুরবাড়ি গেলাম সীতাকে দেখতে। দাদা মারা যাওয়ার পরে ওর সঙ্গে আমার দেখা হয় নি, কারণ এক বেলায় জন্তেও ওরা সীতাকে পাঠাতে রাজী হয় নি । সীতা দাদার নাম ক’রে অনেক চোখের জল ফেললে। দাদার সঙ্গে ওর শেষ দেখা মায়ের মৃত্যুর সময়ে। তার পর আমার নিজের কথা অনেক জিজ্ঞেস করলে। সন্ধ্যাবেলায় ও রান্নাঘরে বলে রাধছিল, আমি কাছে বসে গল্প করছিলাম। ওর শ্বশুরবাড়ির অবস্থা ভাল না, বসতবাটিটা বেশ बफ़हे বটে, किड़ বাস করবার উপযুক্ত কুঠুরী মাত্র চারটি তাদেরও मिङांख जैौ4 अदह,