পাতা:বিভূতি রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড).djvu/১৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ꮌ☾ বিভূতি-রচনাবলী দিনের ছন্নছাড়া মুহূৰ্ত্তগুলোর জন্তে এখনও মাঝে মাঝে মন কেমন ক'রে ওঠে, যদিও এখন বুঝেছি হারানো-বসস্তের জন্তে আক্ষেপ ক’রে কোন লাভ নেই। মহাকালের বীথিপথ অনাগত দিনের শত বসন্তের পাখির কাকলীতে মুখর, যা পেলুম তাই সত্য, আবার পাব, আবার ফুরিয়ে যাবে" তার চলমান রূপের মধ্যেই তার সার্থকতা। মালতীও চলে গিয়েছে কত দিন হ’ল, পৃথিবী ছেড়ে কোন প্রেমের লোকে, নক্ষত্রদের দেশে, নক্ষত্রদের মতই বয়সহীন হয়ে গিয়েছে। - কেবল মাঝে মাঝে গভীর ঘুমের মধ্যে তার সঙ্গে দেখা হয়। সে যেন মাথার শিয়রে বসে থাকে। ঘুমের মধ্যেই শুনি, সে গাইছে – মুক্ত আমার প্রাণের মাঠে ধেনু চরায় রাখাল কিশোর প্রিয়জনে লয় সে হরি R ননী খায় সে ননীচের । সেই আমার প্রিয় গানটা...যা ওর মুখে শুনতে ভালবাসতুম। চোখোচোথি হ'লেই হাসি হাসি মুখে পুরনো দিনের মত তার সেই ছেলেমামুৰি ভঙ্গিতে ঘাড় বলছে—পালিয়ে এসে যে বড় লুকিয়ে আছে ? আখড়ার কত কাজ বাকী আছে মনে নেই ? তখন আমার মনে হয় ওকে আমি খুব কাছে পেরেছি। দ্বারবাসিনীর পুকুরপাড়ের কাঞ্চনফুল-তলার দিনগুলোতে তাকে যেমনটি পেতুম, তার চেয়েও কাছে। গভীর স্বযুপ্তির মধ্যেই তজ্ঞাঘোরে বলি —সব মনে আছে, ভুলি নি মালতী। তোমার ব্যথা দিয়ে, ব্যর্থতা দিয়ে তুমি আমাকে জয় করেছ। সে কি ভোলবার ?