পাতা:বিভূতি রচনাবলী (চতুর্থ খণ্ড).djvu/৩৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

वैिडूङि-द्रष्नांदलैौ واپانف নির্জনত । পশুপতিবাবু, মুটু ও আমি কমলদের বাড়ির সামনের শালবনটাতে বসে অনেক গল্প করি। পেছনের শালবনেও গিয়েছিলুম-আমি একটা গাছে উঠে বসলুম—কমল হাসতে লাগল। বৈকালে সুবর্ণরেখার তীরে একটা বড় শিলার ওপর সবাই মিলে গিয়ে বললুম। ছটি মেয়ে বেড়াতে গিয়েছিল আমাদের সঙ্গে—একটি কোথাকার স্কুলের মাস্টারনী, বেশ গান গাইলে। পরদিন আবার গেলুম গালুডি। মছলিয়ার হাট, সোমবার সেদিন। মহুলিয়ার হাট দেখতে গেলুম। নানা গ্রাম থেকে সাওতাল মেয়েরা সব জড় হয়েচে, মাথার চুলে ফুল গুজেচে, দিব্যি নিটোল কালো চেহারা, বেশ লাগে.দেখতে। আমি মুক্ত শিলায় বসে বসে ভাবছিলুম অনেক দূরের একটি মেয়ের কথা। যখন খামবাবুর বাড়িতে সেই কোণের ঘরটাতে বসে চা থাই, তখনও মনে হয়েচে অনেকদিন পরে কাৰ্ত্তিক মাসে চূড়ামণি যোগের দিন ওদের বাড়ি গেলুম। যেখানে বস্তায় ছিল এক বুক জল—সেখানে এখন শুকনো খটখটে। ও চা দিতে গিয়ে বলেছিল—এই কাপ না এই ভঁাড় ? • অনেক রাত্রের গাড়িতে নেমে ঘাটশীলা বাংলোতে এক আসচি। তারাভরা অন্ধকার আকাশ–শালবনের মাথায় বৃহস্পতি জলচে। অনেক দূরে এক নদীর ধারে তেতলা বাড়ি ছিল একট, বহুদিন আগের কথা। হয়তো এখন সেখানে কেউ থাকে না ’গৌরী। অনেকদিন পরে ওর কথা মনে হল । ভাবলুম কাল আবার এই কাকর মাটি ছেড়ে বাড়ি যাব। বনময় যে ফুলের সুগন্ধ ও হামলীলতার ফুলের গন্ধ পাব । কলকাতা এলুম—আমার সঙ্গে চন্দননগরের সেই মেয়ে দুটি । কাল যাব বনগা । ভাবচি হাজারির বাড়ি যাব। কালীপূজোর দিনটা । বেশ কাটল পূজোর ছুটিটা। ওবেলা মাধব বলেচে রেকর্ড দেবে খুকুর জন্যে। ওর জন্তে কিছু টিপও নিতে হবে। আবার এই ক'দিনের জন্তে দেশে গিয়েছিলুম। খুকু ওখানেই আছে। রোজই যেভূম ওর ওখানে। আসবার দিন অনেক কথা বল্লে। আজ মন্মথদের বাড়িতে কাৰ্ত্তিক পূজোর নিমন্ত্রণে গিয়েছিলুম প্রতি বৎসরের মত। সেখানে অরুণ বল্পে, এলাহাবাদে উষার সঙ্গে ওদের দেখা হয়েছিল—আমার নাম করেচে উষা। বনগারে ভূপেনের সঙ্গে একদিন বিভূতি ও আমি রাজনগরের বটতলায় বেড়াতে গিয়েছিলুম। ইতিমধ্যে অনেক পরিবর্তন ঘটে গেল—গত ডায়ের লেখবার পরে। বনগার বাসা উঠিয়ে দিয়েচি—এখন ঘাটশীলাতেই আমার বাড়ি। সেখানে মুটু, বেীমা, খোক, খুকী সকলেই রয়েচে । ষোড়শীবাবু বলে বনগাঁয়ে একজন আবগারী বিভাগের ইন্সপেক্টর এসেচে—অতি ভদ্রলোক। ওঁর পরিবারের সঙ্গে আমার যথেষ্ট হৃষ্ঠত হয়ে গিয়েচে। কালু বলে সে বাড়ির একটি ছেলে ঘাটশীল যাবার সময় আমার যথেষ্ট সাহায্য করেচে। * মুপ্ৰভা এসেছিল । তার পত্র পেয়ে গত সপ্তাহে দেওঘর যাই। কি যত্বই করলে ও 1 জামার হাতটা ছিড়ে গিয়েছিল—কাছে বলে বসে সেলাই করলে, ওর এ রকম সেবাযত্ন পাওয়ার সুযোগ কখনো ঘটেনি জীবনে । তারপর ওর কথা বড় মনে হচ্ছে । ক'দিন মনে হচ্ছে । কাল রাত্রে গুয়ে গুয়ে ওর কথা ভেবেচি। খুকুর সঙ্গে দেখা হয়নি সেই পূজোর ছুটির পর থেকে—বোধ হয় আর দেখা হবেও না, কারণ বনগার সঙ্গে আমার কোন যোগই আর রইল মা !