পাতা:বিভূতি রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড).djvu/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sb বিভূতি-রচনাবলী তুলিতে গভীরভাবে নিজন চিন্তার দরকার হয়—সেইটাই তাহার হয় না এখানকারমেসজীবনে। * সেখানে তাহার নিজন প্রাণের গভীর, গোপন আকাশে সত্যের যে নক্ষত্রগুলি স্বতঃস্ফৰ্ত্ত ও জ্যোতিমান হইয়া দেখা দিয়াছিল, এখানকার তরল জীবনানন্দের পণ জ্যোৎস্নায় হয়ত তাহারা চিরদিনই অপ্রকাশ রহিয়া যাইত । মনে আছে, সে ভাবিয়াছিল, ঐ সৌন্দৰ্য্যকে, জীবনের ঐ অপথ্য রপকে সে যতদিন কালি-কলমে বন্দী করিয়া দশজনের চোখের সামনে না ফুটাইতে পারবে-ততদিন সে কিছুতেই ক্ষান্ত হইবে না— আর একদিন সেখানে সে কি অন্তুত শিক্ষাই না পাইয়াছিল । ঘোড়া করিয়া বেড়াইতেছিল ৷ এক জায়গায় বনের ধারে ঝোপের মধ্যে অনেক লতাগাছে গা লুকাইয়া একটা তেলাকুচা গাছ । তেলাকুচা বাংলার ফল—অপরিচিত মহলে একমাত্র পরিচিত বন্ধ, সেখানে দাঁড়াইয়া গাছটাকে দেখিতে বড় ভাল লাগিতেছিল ।“তেলাকুচা লতার পাতাগুলা সব শকাইয়া গিয়াছে, কেবল অগ্রভাগে বুলিতেছিল একটা আধ-পাকা ফল। তারপর দিনের পর দিন মে ঐ লতাটার মতু্য-যন্ত্ৰনা লক্ষ্য করিয়াছে। ফলটা যতই পাকিয়া উঠিতেছে, বেটিার গোড়ায় যে অংশ সবুজ ছিল, সেটুকু যতই রাঙা সিদরের রং হইয়া উঠিতেছে, লতাটা ততই দম দিন হলদে শীর্ণ হইয়া শুকাইয়া আসিতেছে । একদিন দেখিল, গাছটা সব শুকাইয়া গিয়াছে, ফলটাও বেটিা শুকাইয়া গাছে ঝুলিতেছে, তুলতুলে পাকা, সিদরের মত টুকটুকে রাঙা—যে কোন পাখি, বানর কি কাঠাবেড়ালীর অতি লোভনীয় আহায্য । যে লতাটা এতদিন ধরিয়া ন’ কোটি মাইল দরের সন্য হইতে তাপ সংগ্রহ করিয়া, চারিপাশের বায়ুমণ্ডল হইতে উপাদান লইয়া মতে, জড়পদার্থ হইতে এ উপাদেয় খাবার তৈয়ারী করিয়াছিল, তাহার জীবনের উদ্দেশ্য শেষ হইয়া গিয়াছে—ঐ পাকা টকটকে ফলটাই তাহার জীবনের চরম পরিণতি ! ফলটা পাখিতে কাঠবেড়ালীতে খাইবে, এজন্য গাছটাকে তাহারা ধন্যবাদ দিবে না ; তেলাকুচা লতাটা অজ্ঞাত, অখ্যাতই থাকিয়া যাইবে । তবুও জীবন তাহার সাথক হইয়াছে—ঐ টুকটুকে ফলটাতে ওর জীবন সাথক হইয়াছে । যদি ফলটা কেউ না-ই খায়, তাহাতেও ক্ষতি নাই, মাটিতে ঝড়িয়া পড়িয়া আরও কত তেলাকুচার জন্ম ঘোষণা করিবে, আরও কত লতা, কত ফুল-ফল, কত পাখির আহায্য । মন তখন ছিল অদ্ভুত রকমের তাজা, সবল, গ্রহণশীল, সহজু আনন্দময় । তেলাকুচা-লতার এই ঘটনাটা তাহার মনে বড় ধাক্কা দিয়াছিল—সে কি ঐ সামান্য বন-ঝোপের তেলাকুচালতাটার চেয়েও হীন হইবে ?--তাহার জীবনের কি উদ্দেশ্য নাই ? সে জগতে কি কিছল দিবে না ? @ সেখানে কতদিন শালবনের ছায়ায় পাথরের উপর বসিয়া দপরে এ প্রশ্ন মনে জাগিয়াছে ! “কত নিস্তব্ধ তারাভরা রায়ে গভীর বিস্ময়ের দণ্টিতে তাঁবর বাহিরের ঘন নৈশ অন্ধকারের দিকে চাহিয়া চাহিয়া এই ঘব স্বল্পই মনে জাগিত। বহু দর, দর ভবিষ্যতে শিরীষফুলের পাপড়ির মত নরম ও কাঁচ-মুখ কত শত অনাগত বংশধরদের কথা মনে পড়িত, খোকার মুখখানা কি অপব্ব প্রেরণা দ্বিত সে,সময় –ওদেরও জীবনে কত দুঃখরাত্রের বিপদ BBBS BB BBBB BBBB BBBSBBB BBBB BBB BB BB DDD DBB হইবে তোমাকে—তোমার কত শত বিনিদ্র রজনীর মৌন জনসেবা, হে বিমত পথের মহাজন পথিক, একদিন সাথক হইবে—অপরের জীবনে । ما يلي " দঃখের নিশীথে তাহার প্রাণের আকাশে সত্যের যে নক্ষত্ররাজি উজ্জল হইয়া ফুটিয়াছে— ག།o: লিপিবদ্ধ করিয়া রাখিয়া যাইবে, জীবনকে সে কি ভাবে দেখিল তাহা লিখিয়া রাখিয়া