পাতা:বিভূতি রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড).djvu/২৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

हुर्कएाग्न ब्राछा ২৩৩ তবুও প্রভাস এগিয়ে গিয়ে হাসিমুখে কেদারের পায়ের থলো নিয়ে প্রণাম করলে । কেদার আনন্দের সঙ্গে বলে উঠলেন—এই যে প্রভাস কখন এলে ? ভালো সব ?“আমিহ’্যা-তাই বেরিয়েছিলাম বটে। সাংকিনী ও মাকড়ার বিলে বাচ হচ্ছে খবর পেলাম পথেই । খাজনা আদায় করতে যখন যাওয়া—আর সবই জেলে প্রজা—বাচ শেষ না হলে কাউকে বাড়ি পাওয়া যাবে না তাও বটে—আর মস্ত কথা হচ্ছে বাচ না মিটে গেলে ওদের হাতে পয়সা আসবে না। তাই ফিরে এলাম । e প্রভাস বললে, ভালই হল । শরৎ তো ছোটবোনের মত —আপনাদের কলকাতা ঘুরিয়ে নিয়ে আসবো বলে মোটর এনেছি এবার। আপনি ছিলেন না বলে একটু মুশকিল ছিল । শরৎদি বলেছিল যাবে । আমার সঙ্গে যাবে এ আর বেশি কথা কি ? নিজের দাদার মত— তবুও আপনি এলেন—বড় ভালই হল । কাল সকালে চলন কাকাবাব কলকাতায় । শরৎ প্রভাসের কথা শুনে একটু অবাক হয়ে ভাবলে—কই, সে কখন প্রভাসদা’র সঙ্গে কলকাতায় যাবে বললে ? প্রভাসদা'র ভুল হয়েছে শুনতে—কিস্ত সে তো আজ দরবার তিনবার বলেছে তার যাওয়া হবে না। কেদার বললেন, তা বেশ কথা। চলো না, ভালই তো । অনেককাল থেকে কলকাতায় যাবো যাবো ভাবি তা হয়ে ওঠে না । মন্দ কি ? প্রভাস ও অরণ একসঙ্গে খুশির সঙ্গে বলে উঠল—কাল সকালেই চলন তবে সে কথা তো আমরাও বলছি । —কখন গিয়ে পৌছবে ? —বেলা বারোটার মধ্যে । কোন কষ্ট হবে না আপনাদের, যাতে সব রকম সবিধে হয়— —এখানে কাল সকালে তোমরা খাবে—খেয়ে গাড়িতে ওঠা যাবে। শরৎ বাবার অনুরোধে যোগ দিয়ে বললে, হা প্রভাসদা, অর্ণবাবকে নিয়ে কাল সকালে এখানেই খাবেন । না, কোনো কথা শুনবো না । এখানে খেতেই হবে— প্রভাস বললে, রাজলক্ষী বলে সেই মেয়েটি যাবে নাকি ? তারও জায়গা হয়ে যাবে। বড় গাড়ি । শরং বললে, না, তার যাবার সবিধে হবে না। আমায় সে বলে গেল এই মাত্র। প্রভাস বললে, তা হলে কাকাবাব কাল সকালেই আসবো তো ? —হ’্যা, এখানে তোমরা খাবে যে সকালে। তারপর রওনা হওয়া যাবে। অরণকেও নিয়ে এসো— দাপরের পরে রাজলক্ষী এল । শরৎ দাওয়ায় বসে পরোনো টিনের তোরঙ্গটা থেকে তার ও বাবার কাপড় বার করতে ব্যস্ত। রাজলক্ষীকে দেখে বললে, এই যে আয় রাজলক্ষী, সব কাপড়ই ছেড়া, যেটাতে হাত দিই। আমার তব দখোনু বেরিয়েছে, বাবার দেখছি তাত কাপড় বাক্সে একখানাও নেই । কি নিয়ে যে যাবেন কলকাতায়— —তা হলে যাচ্ছ সত্যিই শরৎদি ? কাকাবাব; কোথায় ? —যাই, একবার বেড়িয়েই আসি ৷ বসে বসে বাবার কাপড়গুলো এখন সেলাই করবো— কেনবার পয়সা নেই যে নতুন একজোড়া ধতি কিনে নেবো—বেশী ছোড়া নয়, একটু আধটু সেলাই করলে কেউ টেরও পাবে না। বাবা নেই বাড়ি। এই মাত্র পাড়ার দিকে গেলেন । শরতের মনে খুব আনন্দ হয়েছে বাইরে বেড়াতে যাবার এই সযোগ পেয়ে। সে বসে বসে কেবল সেই গল্পই করতে লাগল রাজলক্ষীর কাছে। কতকাল আগে তার বশরবাড়ি গিয়েছিল—ভাল মনেও পড়ে না-সে-ও তো বেশী দরে নয়, টুঙি-মাজদে গ্রামের কাছে .ே1