পাতা:বিভূতি রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড).djvu/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অপরাজিত &&. ছেলে তিন বৎসর প্রায় ছাড়াইয়াছে—ফুটফুটে সন্দের গায়ের রং-অপণার মত ঠোঁট ও মখের নীচেকার ভঙ্গী, চোখ বাপের মত ডাগর ডাগর। কিন্তু সবসখ ধরিলে অপণার মুখের আদলই বেশী ফুটিয়া উঠে খোকার মুখে । প্রথমে সে কিছুতেই বাবার কাছে আসিবে না, অপরিচিত মুখ দেখিয়া ভয়ে দিদিমাকে জড়াইয়া রহিল—অপর মনে ইহাতে আঘাত লাগিল। সে হাসিমুখে হাত বাড়াইয়া বার বার খোকাকে কোলে আনিতে গেল— ভয়ে শেষকালে খোকা দিদিমার কাঁধে মুখ লুকাইয়া রহিল। সন্ধ্যার সময় খানিকটা ভাব হইল । তাহাকে দু-একবার ‘বাবা’ বলিয়া ডাকিলও । একবার কি একটা পাখি দেখিয়া বলিল—ফাখি, ফাখি, উই এত্তা ফাখি নেবো বাবা— প'কে কচি জিব ও ঠোঁটের কি কৌশলে ‘ফ’ বলিয়া উচ্চারণ করে, কেমন অভূত বলিয়া মনে হয় । আর এত কথাও বলে খোকা ! কিন্তু বেশীর ভাগই বোঝা যায় না - উলটো-পালটা কথা, কোন কথার উপর জোর দিতে গিয়া কোন কথার উপর দেয়—কিস্ত অপর মনে হয় কথা কহিলে খোকার মুখ দিয়া যেন মানিক ঝরে – সে যাহাই কেন বলকে না, প্রত্যেক ভাঙা, অশুদ্ধ, অপণে কথাটি অপর মনে বিস্ময় জাগায়। সন্টির আদিম যুগ হইতে কোন শিশু যেন কখনও বাবা’ বলে নাই, 'জল' বলে নাই—কোন অসাধ্য সাধনই না তাহার খোকা করিতেছে ! পথে বাবার সঙ্গে বাহির হইয়াই থোকা বকুনি শরা করিল। হাত-পা নাড়িয়া কি বঝোইতে চায় –আপ না বুঝিয়াই অন্যমনস্ক সরে ঘাড় নাড়িয়া বলে—ঠিক ঠিক । তারপর কি হ’ল রে খোকা ? একটা বড় সাঁকো পথে পড়ে, খোকা বলে—বাবা যাব-ওই দেখব । অপর বলে –আস্তে আস্তে নেমে যা—নেমে গিয়ে একটা কু-উ কয়বি— খোকা আস্তে আস্তে ঢাল বাহিয়া নীচে নামে—জলনিকাশের পথটার ফাঁকে ওদিকের গাছপালা দেখা যাহতেছে - না বুঝিয়া বলে-বাবা, এই মধ্যে একতা বাগান -- —কু করো তো খোকা, একটা কু করো । খোকা উৎসাহের সহিত বাঁশির মত সরে ডাকে –কু-উ-উ—পরে বলে—তুমি কলন বাবা ? অপ: হাসিয়া বলে-কু-উ-উ-উ-উ— খোকা আমোদ পাইয়া নিজে আবার করে –আবার বলে—তুমি কলনে ?--"বাড়ি ফরিবার পথে বলে, খবিছাক এনো বাবা-দিদিমা খবিছাক অtড়বে - খবিছাক ভালো - সন্ধ্যাবেলা খোকা আরও কত গলপ করে । এখানকার চাঁদ গোল । মাসিমার বাড়ি একবার গয়াছিল, সেখানকার চাঁদ ছোট—এতটুকু ! অতটুকু চাঁদ কেন বাবা ? শীঘ্রই অপ দেখিল থাকা দ্ব-টুও বড়। অপর পকেট হইতে টাকা বাহির করিয়া গণিতেছে, খোকা দেখিতে পাইয়া চীৎকার করিয়া সবাইকে বলে—দ্যাখ, কত তাকা —আয় আয়— পরে একটা টাকা তুলিয়া লইয়া বলে –এতা আমি কিছ:তি দেবো না –হাতে মাঠো ধিয়া থাকে—আমি কাঁচের ভাঁতা কিনবো—অপ ভাবে খোকাটা দ্ব-টুও তো হয়েছে— Iা—দে—টাকা কি করবি ? o —না কিছতি দেবো না—হি-হি-ঘাড় দলাইয়া হাসে । অপর টাকাটা হাত হইতে লইতে কষ্ট হয়—তব লয়। একটা টাকার ওর কি দরকার ? भछाभिक्कि नषो । কলিকাতা ফিরিবার সময়ে অপর্ণার মা বলিলেন-বাবা আমার মেয়ে গিয়েছে, ষাককন্তু তোমার কষ্টই হয়েছে আমার বেশী ! তোমাকে যে কি চোখে দেখেছিলাম বলতে दि. अ. ७-d