পাতা:বিভূতি রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড).djvu/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
পরিভ্রমণে চলুন অনুসন্ধানে চলুন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অপরাজিত Գd: ঘোড়ায় প্রায় প্রতিদিনই চড়িত। সারারালি চলিয়া সকাল সাড়ে সাতটায় উমেরিয়া পৌছিল। একটা ছোট গ্রাম,-- পোস্টাফিস, ছোট বাজার ও কয়েকটা গালার আড়ত • ফরেস্ট রেঞ্জার ভদ্রলোকটির নাম অবনীমোহন বস। তিনি তাহাকে দেখিয়া বিমিত হইলেন - আসন, আসন, আপনি পত্র দিলেন না, কিছ না, ভাবলাম বোধ হয় এখনও আসবার দেরি আছে-এতটা পথ এলেন রাতারাতি ? ভয়ানক লোক তো আপনি ! 藝 পথেই একটা ছোট নদীর জলে স্নান করিয়া চুল আচড়াইয়া সেফিটফাটহইয়া আসিয়াছে। তখনই চা খাবারের বন্দোবস্ত হইল। অপ লোকটিকে নিজের মনিব্যাগ শান্য করিয়া চার ऐाका प्रिक्षा दिलान्न पिळा । দাপরের আহারের সময় অবনীবাবর ত্রী দুজনকে পরিবেশন করিয়া খাওয়াইলেন। আপ হাসিমুখে বলল, এখানে আপনাদের জালাতন করতে এলমে বৌঠাকরণ ! অবনীবাবরে সী হাসিয়া বলিলেন, -না এলে দুঃখিত হতাম আমরা কিস্ত জানি আপনি আসবেন । কাল ও'কে বলছিলাম আপনার আসবার কথা, এমন কি আপনার থাকবার জন্যে সাহেবের বাংলোটা ঝাঁট দিয়ে ধয়ে রাখার কথাও হ’ল- ওটা এখন খালি পড়ে আছে কিনা ৷ 頓 廳 —এখানে আর কোন বাঙালী কি অন্য কোন দেশের শিক্ষিত লোক নিকটে নেই ? অবনীবাবু বলিলেন, আমার এক বন্ধ খরিয়ার পাহাড়ে তামার খনির জন্যে প্রসপেকটিং করছেন –মিঃ রায়চৌধুরী, জিওলজিস্ট, বিলেতে ছিলেন অনেকদিন - তিনি ঐখানে তাঁবুতে আছেন—মাঝে মাঝে তিনি আসেন। 繪 অলপ দিনেই ই’হাদের সঙ্গে কেমন একটা সহজ মধর সম্মবন্ধ গড়িয়া উঠিল যাহা কেবল এই সব স্থানে, এই সব অবস্হাতেই সম্ভব, কৃত্রিম সামাজিকতার হুমকি এখানে মানুষের সঙ্গে মানষের স্বাভাবিক বন্ধত্বের দাবিকে ঘাড় গজিয়া থাকিতে বাধা করে না বলিয়াই । একদিন বসিয়া বসিয়া সে খেয়ালের বশে কাগজে একুটা কথকতার পালা লিখিয়া ফেলিল । সেদিন সকালে চা খাইবার সময় বলিল, দিদি, আজ ও-বেলা আপনাদের একটা নতুন জিনিস শোনাব। - অবনীবাবরে গীকে সে দিদি বলিতে শরে করিয়াছে। তিনি সাগ্রহে বললেন, কি, কি বলন না ? আপনি গান জানেন –না ? আমি অনেকদিন ও’কে বলেছি আপনি গান জানেন ৷ — গানও গাইব, কিন্তু একটা কথকতার পালা শোনাব, আমার বাবার মুখে শোনা জড়ভরতের উপাখ্যান । 動 দিদির মুখ আনন্দে উৎজল হইয়া উঠিল । তিনি হাসিয়া স্বামীকে কহিলেন, দেখলে গো - দ্যাখ! বলি নি আমি, গলার স্বর অমন, নিশ্চয়ই গান জানেন - খাটল না কথা ? দপেরেবেলা দিদি তাহাকে তাস খেলার জন্য পীড়াপীড়ি শরা করিলেন । — লেখা এখন থাক । তাস জোড়াটা না খেলে খেলে পোকায় কেটে দিলে- এখানে খেলার লোক মেলে না—যখন ওর বন্ধ মিঃ রায়চৌধুরী আসেন তখন মাঝে-মাঝে খেলা হয়—আসন আপনি । উনি, আর আপনি – —আর একজন ? g —আর.কোথায় ? আমি আর আপনি বসব-উনি, একা দু’হাত নিয়ে খেলবেন । জ্যোংঙ্গনা রাত্রে বাংলোর বারান্দাতে সে কথকতা আরম্ভ করিল । জড়ভরতের বাল্যজীবনের করণ কাহিনী নিজেরই শৈশব-সমতির ছায়াপাতে, সত্য ও পািত হইয়া উঠে, কাশীর