পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দশম খণ্ড).djvu/১৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

రి 8 বিভূতি-রচনাবলী স্বনৗলবাৰু হঠাৎ সলজকণ্ঠে বলিলেন—বাবা বোধ হয় আসবেন রবিবারে। উনিও মেয়ে দেখতে যাবেন—উনি লিখেচেন—আপনার শরীর অস্বস্থ নাকি ? নিধু আড়ষ্ট স্বরে বলিল—না, এই—আজকাল কাজের চাপ'ৰ্ছটির আগে, তা ছাড়া মাঝেমাঝে ম্যালেরিয়াতে ভুগি— —একটু গরম চা করে দেবে ? ও আপনি চা খান না, ইয়ে কোকো খাবেন ? * —থাক গে। বরং জল এক গ্লাস— —ই্য, হ্যা—ওরে বাবুকে এক গ্লাস জল । তারপর শুক্সন একটা কথা— —আজ্ঞে বলুন— —ভদ্রলোকের কাও ! কি করি—সাধনবাৰু সেদিন এসেছিলেন ওঁর বাড়ী আমাকে নিয়ে যেতে মেয়ে দেখতে—শুনেচেন সে কথা ? শোনেন নি ? —না। আপনি গিয়েছিলেন নাকি ? --ম্বাই নি। আমি ওঁকে খুলে বললুম-কুড়ুলগাছির লালবিহারীবাবুদ্ধের সঙ্গে এ নিয়ে কথাবাৰ্ত্ত এগিয়েচে। বোধ হয় সেখানেই—বাবা নিজে আসচেন মেয়ে দেখতে। এ অবস্থায় অন্তর আর— তাই। নিধু আগেই আন্দাজ করিয়াছিল সাধন বুড়োর দরদের আসল কারণ। কথাটা নিরঞ্জনকে বলিতে হইবে । ওই একজন সমবয়সী বন্ধু আছে রামনগরে—স্থখছুঃখের কথা যাহার কাছে বলিয়া মুখ পাওয়া ধায় । যে বুঝিতে পারে, দরদ দিয়া শোনে । শনিবার ম্যাজিস্ট্রেটের সহিত ইন্টারভিউ পর্ব বেলা দেড়টার মধ্যে মিটিয়ে গেল। মহকুমার অনেক বিশিষ্ট লোক উপস্থিত। ভিড়ও খুব । এ যে সময়ের কথা বলা হইতেছে—তৎকালে ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে করমর্দন করা স্বখবিরল ও স্বশবিরল পৃথিবীর একটা প্রধান স্থখ, একটা প্রধান সম্মান। ম্যাজিস্ট্রেট আহেলা বিলাতী আই. সি. এস. । নাম রবিনসন—লম্বা বলিষ্ঠ চেহারা। চেহারার দিকে কিছুক্ষণ চাহিয়! থাকিতে ইচ্ছা করে। এস. ডি. ও. হাসিয়া নিধুকে আগাইয়া দিয়া বলিলেন-বাৰু নিধিরাম চৌধুরী— মূৰূটিয়ার— o ঠিক পূৰ্ব্বে সরিয়া গিয়াছেন লোকাল বোর্ডের মেম্বর শশিপদ্ধ বাৰু। সাহেব সহাস্তবন্ধনে হাত বাড়াইয়া দিয়া বলিলেন—গুড, আফটারন্থন, বাবু, সে ম্যাড, টু শ্বিট ইউ— নিধু ঘামিয়া উঠিয়াছে। সে হাত বাড়াইয়া ম্যাজিস্ট্রেটের হাতে দিবার সঙ্গে-সঙ্গে মাখা নিচু করিয়া সেলাম ঠুকিল। মুখে বলিল–গুণ্ড, আফটারন্থন, স্তর—ইয়োর অনায়— ম্যাজিস্ট্রেট তাহার দিকে চাহিয়া ভদ্রতা-চেক হালিলেন। ইন্টারভিউ শেষ হইয়া গেল। জাজ জার কাজকৰ্ম্ম নেই। - ভাৰ-বাংলা হইতে বাসায় আলিবার পথে নিৰু ভাবিয়া ঠিক কলি আজ দে কুঞ্জলগাছি