পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দশম খণ্ড).djvu/১৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

H&o বিভূতি-রচনাবলী —কুড়ি টাকার কমে হবে না । ছেলেটা কে ? —আমার বড় সম্বন্ধীর ছেলে । আমার ছোট ছেলের অন্নপ্রাশন হবে সামনের বুধবারে। তাতে ওরা সব আসচে কিনা—? क्ल —তুমি তোমার ছোট ছেলের একখানা ঠিকুজি এই সময় তৈরী ক'রে নাও না কেন ? এই সময় করাই ভালো। সন্তায় ক’রে দেবো। পাচটা টাকা দিও। 象 দিগম্বর নন্দী বড় চাষী গৃহস্থ । সে রাজি হয়েই চলে গেল, মনে মনে ভাবলাম নিরুর রঙিন শাড়ী এবার হয়েই গেল। কিন্তু শেষ পৰ্য্যস্ত ওর সম্বন্ধীর সে ছেলে এলোই না। দিগম্বরের ছেলের ঠিকুজি তৈরী ক’রে পাঁচটা টাকা পেয়েছিলাম অবিপ্তি । রহমান ডাক্তার এ অঞ্চলের মধ্যে পসারওয়ালা হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার। ফী নেয় একটাক ক’রে । নিরুর অস্থখ কিছুতেই যখন সারে না, তখন তাকে ডাকলাম। রহমান ভাক্তার ঘোড়ায় চড়ে রোগী দেখে । আমার উঠোনে নেমে বল্পে—মাস্টার মশাই আছেন । আমি সসন্ত্রমে এগিয়ে নিয়ে এলাম । —কি অস্বণ ? কার ? মা ঠাকরুণের ? —হঁ্যা, জাস্কন । দেখুন দিকি ভাল ক’রে । —আপনার সংসারে আর লোক নেই ? —না, তাতেই তো— —তাইতো। কতদিন অস্কখ ? —হোল আজ জুহথা । রহমান ডাক্তার দেখে-শুনে চব্বিশ রকমের খুঁটিনাটি প্রশ্ন ক'রে ওষুধ দিয়ে গেল। ভালো লোক, ভিজিটের টাকা নিতে চাইলে না আমার কাছে। বঙ্গে—ও কি ? টাকা ? না থাক থাক—আপনি দেবেন না— —না নিতে হবে । —ত কখনও হয় ? আমার ছেলেট পড়ে আপনার স্কুলে। আপনি তার মাস্টার মশায় । টাকা দেওয়া নেওয়ার সম্বন্ধ নয় এখানে । তার দিকে একটু লক্ষ্য রাখবেন দয়া ক’রে । ওষুধটা জানিয়ে নিন আমার ডাক্তারখানা থেকে। বেদানার রস খেতে দেবেন। কোজ জানিয়ে নিন একটা । স্কুল থেকে টাকা হাওলাত নিলাম পাঁচটা, ওষুধ জিনিসপত্র সব জানাই বাজার থেকে। নিরু নাকিম্বরে বলে—আমি বঁালি থাবো ন – খাও লক্ষ্মীটি। খেতে হয়— —আমি ওঁ খেতে পারি নে— —না খেলে কি জর ছাড়ে ? খেয়ে নাও— —জামাকে সন্দেশ কিনে দেবে ? সন্দেশ খাবো— —সেরে ওঠে । দেব বই কি ? নিশ্চয় জোবে।--