পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দশম খণ্ড).djvu/২১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুখোশ ও মুখস্ত্রী Sbr& অভাব হবে না। দলের ঝনঝাটে আর বাবে না। ও সব আমার কৰ্ম্ম নয়।” কিন্তু যাকে কেন্দ্র করে আজকার এই সব ব্যাপার, তিনি সম্পূর্ণ সচেতন রয়েছেন, নাভিখাল ওঠা তো দূরের কথা । চোখ বুজে আছেন যে, সে শুধু ভীষণ শারীরিক দুর্বলতার জন্তে । এক একবার ছেলেদের ডাক দিচ্চেন, “বাবা পটল-বাবা রামু—এদিকে এলো—” কিন্তু সে-ডাক ছেলেদের কানে গিয়ে পৌঁছুচ্চে না। আসলে চক্রবর্তী মশায়ের মনেই সেআহানের আসন, কণ্ঠস্বরে রূপান্তরিত হচ্চে না সে-ইচ্ছ, অথচ চক্রবর্তী মশায় ভাবচেন, তিনি ঠিকই ডেকেচেন ছেলেদের ।

  • ওরা কেন আসচে না ? ভাই তো—* চক্ৰবৰ্ত্তী মশায় আবার চোখ বুজলেন । 曼 আজ সারাদিন তিনি অতীত জীবনে বন্ধ হারানে মুহূৰ্ত্ত আবার আম্বাদ করেচেন। ষা স্কুলে গিয়েছিলেন, তা ষে এত স্পষ্ট হয়ে অঙ্কিত ছিল স্থতির পটে কে তা ভেবেছিল ?

প্রথম ধোঁবনের সে-সব গৌরবময় দিন । হরু ঠাকুর তখন ছিলেন চক্রবর্তী মশায়ের আদর্শ। ইলছোবা-মোল্লাই গ্রামের বারোয়ারিতে বড় আসরে হরু ঠাকুরের কবিগান দখন শোনেন, তখন কত বয়েস হবে তার r বছর সতেরো-আঠারো হয়তো । আজও মনে আছে সে-রাত্রের কথা । ভাষার অমন ফুলঝুরি আর তিনি কখনো দেখেন নি, শোনেন নি। মনে হোল ৰেন দেখচেন বিখ্যাত কবিওয়ালা হরু ঠাকুরের মুখে-মুখে ভাষার সে অপূৰ্ব্ব স্বষ্টি। হরু ঠাকুর একদিকে, অন্যদিকে গদাধর মূখুষ্যে—দুই বিখ্যাত কবিওয়ালা। আসরের লোকের মুখে শৰ ছিল না। পুতুলের মত সবাই বসে আছে। ‘স্বধীর ধারে বহিছে এই ঘোরতর রজনী এ সময়ে প্রাণসখী রে কোথায় গুণমণি, ঘন সবাজ ঘন গুনি । ঐ ময়ুর ময়ূরী হরতি, হেরি চাতক চাতকিনী ঐ কদম্ব কেতকী চম্পক জাতি সেঁউতি শেফালিকে ভ্ৰাণেতে প্রাণে মোহ জন্মায় প্রাণনাথে গৃহে না দেখে । বিদ্যুৎ খন্তোত দিব জ্যোতিৰ্ম্ময় প্রকাশে দিনমণি প্রিয়মূখে মুখ ঘিরে গায়িত্তক থাকে দিবস রজনী। সতেরো বছরের যুবকের চোখের সামনে হরু ঠাকুরের গান এক নতুন সৌন্দর্ঘ্য-জগৎ খুলে দিয়েছিল। সেদিন থেকে তার মনে মনে জ্বরাশা জাগলো যদি কোনোনি কবিওয়ালা হতে পারেন, জমন ভাষার ফুলঝুরি ছোটাতে পারেন মুখে মুখে, তবেই জীবন সার্থক । ভোয় হয়ে গিয়েছিল আলর ভাণ্ডতে। সঙ্গে তার ছিল আর একটি লোক, তারই মণ্ড DD DDDS DDD DBB DBB BB BBS BDDBB DDDD S DDD BBB ৰত ৰখাৰাপ্ত পাঞ্চলে, কিন্তু দীনদয়ালের ওপৰ ভালো লাগছিল না।