পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দশম খণ্ড).djvu/২২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুখোশ ও মুখশ্ৰী २०७ পড়ছিল, হে কুলি মেয়ের মাথায় ঝুড়ি নিয়ে পাথর ও মাটি বইছিল। সেজদলে বুনো হাতী ও বাঘ ঘোরে রাত্রে। আমাদের নতুন তৈরী রাস্তার ওপর বুনোহাতীর পায়ের দাগ। কি রিাট শাল গাছ এক একটা। দেড়শো ছশ বছরের পুরানে। কুলি ও কুলিনীরা না বোঝে বাংল, না বোঝে হিন্দী-হো ভাষা ছাড়া কিছু জানে না। খাবার কিছু মেলে না, কেবলই মকাই আর জনার । একজন ওভারসিয়ার ছিল হে খৃষ্টান, নাম নিকোডিম কারকাট্রা । লোকটা বনবিভাগের কৰ্ম্মচারী, রাস্তার কুলিদের কাজ তদারক করতে আর কুলিদের প্রতি কি গালমন্দ, মারধোর করতো ! মেয়ে-কুলিদের ওপরও এইরকম করচে দেখে একদিন আমার ভারি রাগ হ’ল । সে কি অকথ্য ভাষায় গালাগাল, চাৰুক উচিয়ে মারতে যায় মেয়েদের, পাথরের ঝুড়ি বইছে মাথায় নিয়ে, দিলে সজোরে ধাক্কা, ঝুড়িম্বদ্ধ ছিটকে পড়ে গেল একটি মেয়ে কুলি। অামি বল্লাম—ও কি হচ্ছে ? · নিকোডিম রেগে উঠে বল্পে—কি ? —কি দেখতে পাচ্চ না ? মেয়েদের অমন ক’রে ধাক্কা দেয় ? ছিঃ ! • —ওরা কাজ করচে না । —তা বলে তুমি মারবে ওদের ? ষে মেয়েটিকে ধাক্কা মারা হয়েছিল, সে দাড়িয়ে উঠে গায়ের ধুলো বাড়ছিল, নিকোডিমের ভয়ে সবাই সেখানে জুজু, কারো কিছু বলবার সাহস নেই। আমি ঘখন নিকোডিমকে তিরস্কার করছি, তখন অন্ত সকলে সপ্রশংস দৃষ্টিতে আমার দিকে চেয়ে ছিল। আমার বকুনি খেয়ে নিকোডিম সেখান থেকে এগিয়ে পাহাড়ের নীচে রাস্তার ও-বাকে চলে গেল। ব্যাপারটা কিন্তু তখুনি মিটলো না। নিকোডিম সেদিন থেকে আমার শক্র হয়ে দাড়ালো। ওসব জঙ্গলের মধ্যে ওদের সাহায্য ভিন্ন খাবার ধোগাড় করা মুশকিল। ও গ্রামে বারণ ক’রে দিলে—আমি দুধ পাই নে, ডিম পাই নে। বন-বিভাগের কৰ্ম্মচারীদের জন্তে বলিবা গ্রামে গবর্নমেন্টের তৈরী ঘর আছে। সেখানে যাতে আমি রাত্রে আশ্রয় না পাই, তার ব্যবস্থাও BBBS BB B BBBB BB BBB BBBB BB BBB BBBS BB BB BBB BBBHHH করতে পশ্চিমের বন পাহাড়ের ওপারে—আমার সাইকেলে ফিরতেই হ’ত বস্তজন্তু-অঞ্জুৰিত বনপথ ধরে এগারো মাইল দূরবর্তী জেরাইকেলায়। আশ্রয় বা খাদ্য কিছুতেই মিলতো না নিকটে কোথায়ও । আমার ভয় করতে না বঙ্গে সত্যের অপলাপ করা হয়। সাত মাইল দূরে কেরকোচ নালার ধারে বেলা একদম পড়ে আসতে, অন্ধকার দেখাতে পাহাড়ী চালুর ঘন শাল জঙ্গল। বড় বড় আসান গাছগুলো দেখাতে ভূতের মত, শুকনো পাতায় শৰ শুনলে মনে হ’ত বাৰ বেরিয়েটে প্রত্যেক বাকে মনে হ’ত আধ-অন্ধকারে ঝুন হাতি রাস্ত ৰঙ্ক ক’রে দাড়িয়ে আছে —সাইকেলের সঙ্গে ভাল লাগাবে বুঝি—তবুও যেতে হয়েচে ৰাধা হয়ে । একদিন সম্বর হরিণের একটা দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল, আর দেখতাম ৰন-মোরগ