পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দশম খণ্ড).djvu/২৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. २¢० বিভূতি-রচনাবলী —ও মোর ছেলে ট্যানো। ওরে চেনেন না ? -नां, cउांशांद्र cछ्रज श्रांtछ् ऊांझे छांनिद्रम ? क७ वफ़ ? —তা বাৰু শতরের মুখে ছাই দিয়ে বড়-সড় হয়েছে। কত তা কি মোরা জানি ? এই পাড়ার রাখাল । সবারই গরু চরায় । ( * —বেশ । এইবার আমার নজর পড়লো বরো যেখান গায়ে দিয়েছিল সেই কাপড়খানার দিকে। থলের চট বলইে মনে হওয়াতে জিগ্যেস করলাম-গায়ে দিয়েছ কি ওটা ? —এখানা বাৰু কম্বল। —কি রকম কম্বল ? —আর বছর বনগী থেকে এনে ডাক্তার বাবু বিলি করেলেন। এর মধ্যে তুলে পোরা। পাঁচখানা মোদের গায়ে বিলি হয়েল, গৌরমেণ্ট থেকে নাকি বিলি হয়েল। কি জানি বাবু, আপনারাই জানেন-মোরা কি খবর রাখি বলুন। দিলে একখানা, নেলাম। তা বাৰু একখানা কাপড় পাবো না ? মুছলবে বেরোবার উপায় নেই— গ্রামের লোকে কি করে জীবন কাটায়, ভাল করে দেখিনি কোনোদিন, আজি একে দেখে তা বুঝলাম। এই শীতে একখানা থলের চট গায়ে দিয়ে বাইরে শুয়ে ষে আছে, তার কালই নিমোনিয়া যদি হয় এবছরের এই ভীষণ শীতে, তবে কোন ডাক্তারখানা থেকে এদের ওষুধ আসবে ? দিনকতক পরে গ্রামে বাঘের উপজব হোল। প্রতি বৎসরই শীতকালে ৰাম্বের উপজব হয় এ অঞ্চলে। লোকের গোয়াল থেকে গরু বাছুর নেয়, রাজিচরা গরু তার পরের দিনের আলো হয়তো আর দেখে না। এ বছর উপদ্রবটার বাড়াবাড়ি দেখা গেল। দিনদুপুরে দক্ষিণ মাঠের বেগুনের ক্ষেতে কি নয়ালি দীঘির পাড়ের জঙ্গলে চুয়োডাঙ্গার রাস্তার অশ্বখ গাছের তলায় বাঘকে শুয়ে থাকতে দেখে চাষী কি পথ-চলতি লোকে । ফুটফুটে জ্যোৎস্না রাতে ইছামতীর ধারের বঁাশবনের পথ দিয়ে সীতে জেলে মাছ ধরে নিয়ে তেঁতুলতলার ঘাট থেকে বাড়ী ফিরচে, মস্ত বড় বাঘ (অবিপ্তি গীতে জেলের বর্ণনানুসারে) রাস্তা জুড়ে শুয়ে আছে। জনপ্রাণী নেই তেঁতুলতলার ঘাটের পথে, বাঘও নড়ে না—দীতে জেলের ম ষষ্ট্ৰেী ন তন্ধে অবস্থা-তারপর বাঘট। হঠাৎ লাফ দিয়ে পাশে ঝোপে কেন পালিয়ে গেল সে-ই জানে। একদিন তো আমারই বাড়ীর পেছনে বঁাশবনে সন্ধ্য রাতে ফেউ ডাকতে শুরু করলো। হাট থেকে ফিরবার পথে বরো বাগজিনীর ঘরের পাশ দিয়ে এলাম ওকে বাম্বের কথাটা বলে সতর্ক করে দেবার জন্তে । জ্যোৎস্ব উঠেছে, সন্ধ্যার অল্প পরেই। তেমনি শীত । " বয়ে দেখি দাওয়ায় শুয়ে আছে, মাথার কাছে একটু করে ঘুটের আগুন । একেবারে লেপ ঘুড়ি দিয়ে শুয়ে আছে। —কি বরো, এত সকালে তয়ে পড়েচ ?