পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দশম খণ্ড).djvu/২৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨&૭ বিভূতি-রচনাৰঙ্গী

  • গোপেশ্বর এগিয়ে এসে বললে—চলো চলো, ও কিছু নয়-এতগুলো লোককে বাৰ

श्वब्रट5 मl-छरञ1 বাঘের জলা পার হয়ে আমরা এগিয়ে গেলাম। মধু জেলে ছেলেমান্থব, তার ভর হয়েছে। লে বললে-রায় কাকাবাবু, মোরে মাঝখানে করে স্থাও— অামি ধমক দিয়ে বললাম—নে, আচ কান! বিশ বছরের ধাড়ির ভয় ভাtখা-শীতকালে ফি বছর বাঘ আসে, জানো না ? মধু বললে –না, পায়ে পড়ি ধোরে এটু মাঝখানে স্তান-মোর গা ডোল দিয়ে উঠেচেuधं cक्षभून ब्रि नl इघ्न —এত ভয় তোর ? হাট কৰ্ত্তি আসিস কেন ? মায় অণচল ধরে বসে থাক গে। কথাটা বললে জালি নিকিরি। মধুকে মাঝেই নেওয়া হোলো সবার কথায়। মধুর ভয় তখনো যায় নি। বললে—রাভিরি ছ’টা পয়সা বাচাবার জঙ্কি এল-গাড়ীতি ন৷ গিয়ে হেঁটে এ্যালেন সবাই কিন্তু ভাল কাজ করলেন না। আজ মঙ্গলবার অমাবস্তে— সেবার মুই আলেয়া ভূত দেখেলাম চাতরাধাগির বিলি– আলি বললে –বিলির জলে ? —না গো । বিলির জলের ধারে ? জগচে নিভচে জলচে নিবচে– গোপেশ্বর বললে - যাকগে। রাত্তির কালে ওই সব – রাম, রাম, রাম, রামঅামি অতি কষ্টে হাসি চেপে রেখেচি ; এ দলের মধ্যে সাহসী জালি নিকিরি, তারপরেই আমি ; ভু টুতের ধার ধারিনে। মধু ছেলেমান্বষ, ওয় না হয় ভয় হওয়া সম্ভব –কিন্তু গোপেশ্বর বেষ্টিম আধৰুড়ো লোক, ওরও ভয়! হাসি পায় বৈকি। এর পরে নানারকম ভূতের গল্প উঠলো ! জলার মধ্যে নক্ষত্র জলচে, কাশবনে শেয়াল ডাকচে । খাম-লতার সাদা ফুল অন্ধকারে দেখা যাচ্চে ঝোপে ঝোপে, মিষ্টি গন্ধ বেঙ্কচ্চে। বিবি ডাকচে পায়ের তলায় ঘাসবনে । জালি নিকিরি মাছের ব্যবসার গল্প করচে। এবার ও পাচপোতার বিল জমা নেবে, আশিখানা কোমড়ে অাছে। এক এক কোমড়ে দু মণ মাছ হবে। গোপেশ্বর জিগোল করলে- কোমড় ৰে পেতেছিল, সে মাছ তোলে নি তা থেকে ? আলি বললে –কি করে ধরতি পারবে ? অত জলে আর কচুরিপানার দামে বোঝাই বিলির মধ্যি মাছ ! অত সোজা না মাছ ধরা ! গোপালনগর ইষ্টিশান এল, ওয়া রেলের বেড়া টপকে অন্য রাস্তায় চলে গেল। জামি এবার একা। ইষ্টিশান ছাড়িয়ে দুধারে জঙ্গল বডড ঘন। অামার ভয়-ডর নেই, অত বনভূজলের মধ্যে দিয়ে একাই ৰাচ্চি, নানারকম অপদেবতার গল্প শুনেও । রায়পুরের রাস্তাটা ৰেখানে রেল লাইনের পাশ দিয়ে বেরিয়ে গেল, সেখানটাডে জঙ্গল বড় ঘন। হঠাৎ মামি থমকে দাড়িয়ে গেলাম।