পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দশম খণ্ড).djvu/৩৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'&A 3 অমুসন্ধান নারাণ মাস্টার সকালে উঠে স্ত্রীকে চ দিতে বললেন। স্বী মনোরম বললেন-চাও নেই, চিনিও নেই। দুধ তো দিয়ে যায় নি গোয়ালা। দু-মাস তাকে টাকা দেওয়া হয় নি। তুমি সংসারের কিছুই দেখ না। আমি কি করে এক সংসার চালাই ? বাইরে থেকে ছেলেরা বললে, বাড়ী আছেন স্তার ? নারাণ মাস্টার হস্তদন্ত হয়ে স্ত্রীকে বলেন, একটু করে দাও যা হয় করে। ওরা সব এসে গেল। মনোরমা মুখ ঝামটা দিয়ে বলেন, এলে কি হবে ? শুধু ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো । তোমার হয়েছে তাই। কারে কাছে পিতে্যুস নেই, ওদের পেছনে ভূতের মত খাটুনি। এর চেয়ে টুইশানি ধরলে তো কাজ হয়, দু-পয়সা আসে। বাইরে একখানা চালাঘরে গ্রামের চাষাভূযোদের অনেকগুলো ছেলে জুটেছে। নারাণ মাস্টার তাদের কাউকে অক্ষর পরিচয় করান, কাউকে ভাঙা একটা গ্লোবে ভূগোল শেখান, একজনকে কবিতা পড়তে শেখান। একটি গরীব ছেলেকে বলেন,—কি খেয়ে এসেচিস্ সকালে ? কিছু না ? শোন, তোর কাকীমার কাছে গিয়ে বল দুটি মুড়ি দিতে। আমি বলে দিয়েচি যেন বলিস নে ? 疊 ছেলেটি ইতস্ততঃ করে। সে তার কাকীমাকে চেনে। সেখানে যেতে তার সাহসে কুলোয় না, তবু নারাণ মাস্টারের মনস্তুটি করবার জন্যে পায়ে পারে অন্দরের দিকে এগোয়। মনোরম বসে ধান সিদ্ধ করচেন রান্নাঘরে। ছেলেটি ভয়ে ভয়ে দাড়িয়ে দেখে। ডাকতে সাহস হয় না। মনোরমা হঠাৎ এগিয়ে বলে,—কে ? বিষ্টু ? কি রে ? -──་པ་གྲྭཊེ།──ས་གྲྭཊོ───ས་ —কি ? —মাস্টার মশায় বলে দিলেন, এই—মোরে দুটি মুড়ি দিতি! —তা আর বলে দেবেন না কেন ? তার কি ? কোথা থেকে কি জোটে তার সেদিকে কতটুকু খেয়াল থাকে ? যা মুড়ি নেই। বল গে যা— নারাণ মাস্টার খেতে বসেচেন। বাড়ীর পাশের এক গরীব গেরস্তবাড়ীর ছোটো ছেলে ওৎ পেতে থাকে, কখন তিনি খেতে বসবেন । যদি না আসে, নারান মাস্টার ডাকেন,— —আয় বিলু, আয়— বিলু বলে—কি ? হ্যা ? সে ওই দুটো কথা বলতে শিখেচে । ধেটে স্কুল যেতে হয় অনেকদূর। দেরি হয়ে যায়, পথে যেতে যেতে শোনেন স্কুলের ঘণ্টা বাজচে। সাত মিনিট লেটু। হেড মাস্টার নীরদ রায় বড় কড়া লোক, বয়স পঞ্চাশের ওপর, চোখে চশমা, লম্ব দোহার চেহার) ।