পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দশম খণ্ড).djvu/৩৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(नौटकब्र अँछिथानि श्रृंज नौ वॆमाऊँौ ब्रया बटमTांश्रीशांग्नट्क निषि७) S ইং–১৯৮৪৭, সোমবার কল্যাণীয়াস্ন, বেশ মানুষ, নীরব কেন ? তোমাদের আসবার কথা ছিল ও সপ্তাহে, রোজ চাবিটা দরওয়ানের কাছে রেখে যেতাম আর রেজি ভাবতাম আজ গিয়ে দেখবো ঠিক কল্যাণী এসেচে। তোমার জন্যে Rowntree চকলেট কিনে রাখলুম, ঘরে ফিরে রোজ রোজ নিরাশ হয়ে একদিন রাগ করে চকোলেট নিজেই খেয়ে ফেললাম। তারপর অবগু তোমার বাবার পত্র পেলুম, পেমৃে জানলাম আসা তোমাদের হোল না । নিরাশ তো হয়েই ছিলাম, তোমার ওপর অকারণ রাগও হয়েছিল। সত্যি কথা বলাই ভালো । এবারও বনগায়ে দুদিন আননে কেটেছিল, সে কথা বলা বাহুল্য মাত্র। বেলুর षङ्गতিথির শুভ অনুষ্ঠান ও আনন্দের মধ্য দিয়ে আমি আমার নিজের বাল্যদিনের অমৃদ্ধৃতি ফিরে পেয়েছিলাম। বিশেষত এই বর্ষাকালে। কেন যে বর্ষা ও শরৎ এই দুটি ঋতু আমার এত প্রিয় তা জানি নে—কিন্তু আমার শৈশবের সকল স্বপ্নলোক যেন এক সময় জন্ম নিয়েছিল এই ঋতুর মধ্যে, তাই শরতের নীল আকাশ, পরিপূর্ণ ঝলমলে রৌদ্র, ঘন সবুজ বনঝোপ জামার মনে শৈশবের সেই হারানো জগৎকে আবার ফিরিয়ে আনে, যে জগতের রহস্ত আমার কাছে কোনদিন শেষ হবে না, জন্মাস্তরের পথে কতবার যার সঙ্গে পরিচয় ঘটবে। কল্যাণী, তোমার মধ্যে একটি ভাবুক মনের পরিচয় পেয়েই তোমায় এ-কথা লিখলুম। এ জগতে বেশির ভাগ লোকে বস্তুকে, অর্থকে, বিষয়কে, পদগৌরবকে বেশি করে বোঝে, ভাবাহুভূতিকে বোঝে না। কিন্তু সেদিন যখন বালুরঘাটের জীবনের প্রতি তোমার পিছুটানের কথা ও নানা জায়গার প্রকৃতি-বর্ণনা শুনলাম, তখনি আমার মনে হয়েচে তুমি এসব বোঝে ও ভালোবাসে। ছেলেমানুষ হলেও এই কল্যাণময়ী প্রকৃতির রূপ অন্ততঃ আবছায়া ভাবেও তোমার চোখে ধরা পড়েচে । সকলের পড়ে না এবার শরতে- একদিন বনগায়ে আমরা সবাই বৈকালের আকাশের তলা দিয়ে নদী বেড়াতে যাবো, নৌকোয় করে। নিশ্চয়ই তোমার খুব ভাল লাগবে, আমি বলতে পারি। শরতের নীচরলগ্ন কাশবনের শোভা আশা করি পূর্বে অনেক দেখেচ, এবারও দেখাবে। তোমার গল্প লিখবার খোরাক জুটবে। তোমার চিঠি না দেওয়া ভুল হয়েচে । রোজ দেখি চিঠি এসেচে কি না। ভারি অন্যায় কল্যাণী। পত্র পেয়েই চিঠি দেবে। তোমায় এ কদিন পত্র লিখবো ভেবেছিলাম ; রাগ করে লিখিনি—এখন সত্যি আর থাকতে পারলুম না। কেন না মন উদ্বিগ্ন হয়েছে। ভাবচি, অন্ধখ विश्ष एब्रमि cज्रो कलागेख्न ? वि. ब्रि. ४०-२७ *