পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দশম খণ্ড).djvu/৩৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

●iजांबली ●gፃ তোমার বুনো শট-ফুলের গল্প বেশ লাগলো। সামান্য ঘটনা গুছিয়ে লিখবার গুণেই পড়তে ভাল লাগে এমন! বেশ ভাবুক মন কিন্তু তোমার, সময়ে সময়ে ভাবি, এত অল্প বয়সে এমন ভাবুক মন কোথায় পেলে ? আমার যখন তোমার বয়েস (সে যুগের কথা অবিপ্তি ), তখন বনগায়ের বোডিংয়ে থেকে পড়ি, বারাকপুর ছেড়ে এসে মায়ের জন্যে বাবার জন্যে বিশেষ করে বারাকপুরের নদীতীর, গাছপালার জন্যে আমার মন খারাপ হোত এবং পুরোনো দিনের কথা মনে পড়তো । যখন আমি ভাগলপুরে কাজ করি তখনও বারাকপুরের জন্যে মন কেমন করতো, তা থেকেই বোধ হয়, পথের পাচালীর উৎপত্তি। চিরকাল বারাকপুর ভালবাসি। কেউ নেই সেখানে আপনার বলতে, তবুও যে যাই সেখানেই, সে শুধু বারাকপুরের প্রকৃতির টানে, কি জানি কি দিয়ে আমার মন বেঁধেচে ওখানকার পল্লী-প্রকৃতি ! যদি সম্ভব হয় একদিন পূজোর ছুটিতে তোমাদের ওখানে যাবে। নিয়ে । আমার মনে হয় তোমারও ভাল লাগবে । হল, একটা ব্যাপার। গোয়ালিয়রে পূজার পূর্ণিমা থেকে ভারতবর্ষের কবি ও সাহিত্যিক সম্মেলন অমুষ্ঠিত হবে-রাজদরবার থেকে নিমন্ত্রণ পাঠানো হয়েচে বাংলাদেশের কয়েকজন সাহিত্যিকের উপস্থিতি প্রার্থনা করে। তার মধ্যে আছে সজনী দাস, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়, মোহিতলাল মজুমদার, মণীন্দ্রলাল বস্ব ও আমি। ১২ অক্টোবর তারিখে আপ দিল্লী এক্সপ্রেসে ওরা সবাই এখান থেকে যাবে, ১৫ দিন সেখানে থাকতে হবে, সাহিত্যিকদের থাকবার জন্য রাজদরবার থেকে খুব ভাল বন্দোবস্ত করবে এবং মোটরে ও অঞ্চলের অনেক দ্রষ্টব্য স্থান দেখাবে। সজনীবাবুর বিশেষ অনুরোধ আমি যেন যাই, কাল সজনীবাবুর বাড়ি গিয়েছিলাম, সেখানে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ও ছিল, সবাই বললে, একসঙ্গে বেশ আডড দিতে দিতে যাওয়া যাবে। তা ছাড়া যাতায়াতের খরচ স্টেট থেকে দেবে স্থির হয়েচে । সজনীর নামে ওর টাকা পাঠিয়ে দেবে। আচ্ছ, এখন কি করি আমি ? যদি ১২ই অক্টোবর গোয়ালিয়র যাই দিল্লী এক্সপ্রেসেতাহলে যেখানেই থাকি, ১১ তারিখে অর্থাৎ yপূজোর পরে একাদশীর দিন আমায় কলকাতায় আসতে হয়। ১৫ দিন গোয়ালিয়র কাটালে ২৮শে অক্টোবর পর্য্যস্ত সেখানে থাকতে হয়, কলকাতায় এসে পৌছুতে আরও দুদিন—অক্টোবর মাস শেষ হয়ে গেল। ছুটির বাকি রইল আর মোটে দশ দিন। এর মধ্যে কবে বা যাই চাটগা, কবে বা থাকি বারাকপুর কবে ৰা शांझे वनशैं । এবাদে ঘাটশিলাতেও যেতে হয় তাহলে ২রা বা ৩রা অক্টোবর-থাকা হয় মোটে ৭ দিন । এই সব বিবেচনা করে দেখে এখনও বুঝতে পারচিনে কি করা উচিত। ভীষণ মুশকিলে পড়ে গিয়েচি, কল্যাণী । 繆 তারপর ধরে যাওয়া নিজের ইচ্ছাতে, কিন্তু আসা পরের ইচ্ছায়। যদি সেখানে থাকার ভাল ব্যবস্থা বন্দোবস্ত,দেখে সঙ্গীরা বলে বসেন একেবারে পূজোর ছুটিটা কাটিয়েই যাওয়া