পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দশম খণ্ড).djvu/৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূমিকা বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের গ্রন্থের ভূমিকা লিখতে বসে প্রমাদ হয় আমার-স্থতি । বিভূতিভূষণের সহান্ত প্রোজ্জল মুখ, কৌতুকদীপ্ত চোখ, প্রাণখোলা হালি আমাকে জেরা করে : অবশেষে এই লেখা হচ্ছে ? কত কথা বলেছিলাম কতদিন, কিছুই বিধৃত করে একত্রে আমার সাহিত্য-সম্পর্কে গ্রথিত করে:উত্তরস্থরীর হাতে দেওয়া গেল না ? W অল্প বয়সে কুন্ন ভজনের অবারিত সান্নিধ্য পেলে সেই পরিচয়-পরিধির প্রয়োজনীয়. অংশে বিশেষ মূল্য আরোপ করা হয়ে ওঠে না। অকালমৃত্যু তাতি-পরিচিত জনকে জীবনের অন্যতীরে নিয়ে যেতে পারে অকস্মাৎ, একথা কল্পনা করা যায় না। তাই হারিয়ে ফেলেছি অনেক কথা, যেগুলি আজ হয়তো তার রচনায় নূতন আলোকপাত করতে পারত, গতামুগতিক ভূমিকা হত না অকিঞ্চিংকর প্রয়াস। এই ভূমিকাকারের ভাগ্যে বিভূতিভূষণের বিখ্যাত উপন্যাসের একটিও পড়েনি। প্রকাশনার অনিষাৰ্য্য প্রয়োজনে শেষের দিকের বিন্যাসে দশম খণ্ডে যে কয়েকটি বই পড়েছে छहे भांढा । @ পথের পাঁচালী’ আমার-শৈশধের স্বপ্ন ছিল, গভীর আত্মপ্রত্যয়ে বিভূতিভূষণ পথের পাচালী’র বিষয়ে আমাকে চিঠি লিখেছেন। ‘পথের পাঁচালী’র সঙ্গে বোম। রোলার ‘জ্য। ক্রিস্টোফা’ উপন্যাসের প্রথম খণ্ডে ( ‘Dawn & Morning' ) মিল খুঁজে পেয়েছি । ‘পথের দেবতা ‘God of the Way হয়ে এক ভাবেই হেলেছেন ) কিন্তু কি বিচিত্র পার্থক্যে বাংলার মাটি-জলকে অভিনব রূপ দিয়ে, তাকে অতিক্রম করে দূর দিগন্তে লেখকের যাত্র। ] বাস্তবের ‘নিশ্চিন্দিপুর’ আমাদের staat siffs "Never Never Land en চিরদিন, BBBBBBBBB BBBSS BBB SBBSBBBBSB BBBBB BBBBBBBBBBBBB BBB | ইছামতী’ রচনার প্রথমপরিকল্পনা ঘটিশীলার ধারাদায় ধসে তিনি আমাকে বলেছিলেন। মহাভারতের বনপর্কের প্রতিরূপু পেয়েছিলাম আরণাকে'। 'গ্রিীপের অপাধি অভীপ্সা, আদর্শ হিন্দু হোটেলে’র হাজারীঠাকুরের মধ্য দিয়ে, সাধারণ পেটে-খাওয়া মেহনতী মানুষের বিজয়—’অল্পবুর্বমো অমৃদর্শন—এগুলি বিভূতিভূষণের প্রতিনিধিত্বমূলক রচনা। লেখার ভার নিয়েছেন আমার চেয়ে বহুলাংশে যোগ্যতর সমালোচকেরা। তবু একবার স্মরণ না করে পারলাম ন} । o বিভূতিভূষণের রচনাশৈলী বিশ্ন করলে হাতে কয়েকটিশ পাওয়া যায়-প্রকৃতিপ্রেম, পৰ্য্যবেক্ষণ, কবিত্ব, সারল্য, আন্তরিকভ}}ইত্যাদি। সঙ্গে আরও একটি উপাদান অতি প্রকট, মৌলিকত। বাংলাসাহিত্য যখন নগর শ্রয়ী অবচেতনমানস ও বিদেশী সাহিত্যের দক্ষিণবাতাসে পুপহী, তখন একমুহূর্তে বিভূতিভূষণ সমগ্র সাহিত্যের মোড় ফিরিয়ে দিলেন। উপেক্ষিতা গ্রট (প্রথম পুঙ্কাশ ১৯২২ খৃষ্টা) পরিহার করেও অনায়ালে আমরা বিভূতিভূষণের সাহিত্যকীৰ্ত্তি পথের পাঁচালী’ থেকে ধরে ১৯২৮ খৃষ্টাৰে বিচিত্রা মাসিকের পাতায় চলে আমি জ্ঞানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পীকেজিক উপন্যাসগুলির কথা এস্থত্রে মনে